ইমাম বিমান,ঝালকাঠির প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া গ্রামের কাতার প্রবাসী ছেলের স্ত্রী মারুফা বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে রেখে শাশুড়ি ও দেবর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের পয়োযনিক কক্ষে পুত্রবধু মারুফা (১৯) এর মৃতদেহ রেখে শাশুড়ি এবং দেবর উধাও। এ বিষয় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান সন্ধ্যা ৬:৫০ ঘটিকার সময় মারুফা মৃত বলে নিশ্চত হওয়ার পর রোগীর সাথে অাসা লোকজন পাওয়া যায়নি।
মৃত মারুফার খালা পাখি বেগম জানায়, মারুফা নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে। প্রায় তিন বছর অাগে একই গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে কাতার প্রবাসী সুমন হাওলাদারের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক তাদের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই প্রায়ই মারুফার সংসারে মারামারি, পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। মারুফা এবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছে। শাশুড়ি, দেবর মিলে ওকে মেরে ফেলেছে। হাসপাতালে উপস্থিত মারুফার চাচাতো বোন অভিযোগে জানান, মারুফার শশুর বাড়ীতে তার শাশুড়ী, দেবর ও স্বামী পরিত্যাক্ত ননদ মিলে তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করত।
গত তিন মাস ধরে মারুফাকে ততার শশুর বাড়ির লোকজন প্রায় গৃহবন্ধী করে রাখে। এ বছর এইচ এস সি পরীক্ষা শুরু হলে মারুফা পরীক্ষার্থী থাকায় তার দেবর সাথে নিয়ে পরীক্ষা সেন্টারে অাসত অাবার শেষ হলে বাড়িতে নিয়ে যেত। মারুফার কোন ফোন ছিল না বাবার বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করতেও তাকে কোন ফোন ব্যবহার করতে দিত না বরং সব সময় নজরদারীতে রাখতো।
এ বিষয় কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী জানান, মারুফার গলায় ওড়না অথবা কাপড় পেচানোর দাগ রয়েছে। তদন্তের পূর্বে কিছু বলা যাচ্ছে না। থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমুত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। এ বিষয় মারুফার খালু শশুর দিলু কমিশনার জানান, মিমাংশার চেষ্টা চলছে অাগামী দিন বিস্তারিত জানতে পারবো।