রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্বে অর্থ কেলেংকারি ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তা ধামাচাপা দিতে বিদ্যালয়ের পপ্রধান শিক্ষক একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার মানপাশা শেরে বাংলাা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারের বরাদ্দকৃত ১ লাখ ৬ হাজার টাকা থেকে ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণ পেয়েছে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তা মজনু মোল্লা। প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা হাওলাদার কমিটিকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারের টাকা থেকে ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাত করায় ম্যানেজিং কমিটি, ছাত্র-অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ম্যানেজিং কমিটি সদস্য মো. মনিরুজ্জামান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সদর উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তা মজনু মোল্লাকে অর্থ কেলেংকারির ঘটনায় তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। মজুনু মোল্লা মানপাশা শেরে বাংলাা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ে গিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা হাওলাদারের বিরুদ্ধে ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাত করার প্রমাণ পায়।
তদন্ত কমিটি তদন্ত করতে গিয়ে দেখেন, বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারের বরাদ্দকৃত টাকা থেকে বিদ্যালয়ের অফিস ব্যয় দেখিয়েছেন ৩২ হাজার টাকা ও অন্যান্য ব্যয় ২০ হাজার টাকা যা বিধি বর্হিভূত। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎবিল, ফ্যান ও ঘড়ি মেরামত বিল বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে দেয়া হলেও প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশে প্রতি ছাত্রের কাছ থেকে ১০ টাকা করে চাদাঁ নেয়া হয়। যা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করেন।
তদন্ত কমিটি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সত্য মর্মে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে ঝালকাঠি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যলয়ে স্বারক নং ২২৪/৭, তারিখ: ২/৮/২০১৭ লিখিত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরিশাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যলয়ের উপ-পরিচালকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠান। বর্তমানে প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় মেরামত ও সংস্কারের বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সিদ্ধান্তের জন্য বরিশাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যলয়ের উপ-পরিচালক এসএম ফারুক হোসেনের কাছে জমা রয়েছে।
বিদ্যলয়ের স্থানীয় সহকারী শিক্ষক মামুন প্রধান শিক্ষিকার এসকল অপকর্মের সমর্থন না দেয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনের নামে প্রাইভেট পড়ানোর মিথ্যা অভিযোগ তোলেন।
এ অভিযোগের ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে জানাযায়, প্রধান শিক্ষিকা মামুনকে হয়রানী করার জন্য এ মিথ্যা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক মো. মামুন বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষিকার অর্থ আত্মসাতসহ নানা অপকর্মের সমর্থন না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা হাওলাদার’।
প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা হাওলাদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট উপ-পরিচালকের দপ্তরে জমা রয়েছে। আমি সেখানে গিয়ে যা বলার বলব’।
এ ব্যাপারে বরিশাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক এসএম ফারুক হোসেনকে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।