নিউজ ডেস্ক:
নিজেকে জ্ঞানী ভাবা কোনো অন্যায় কাজ নয়। কিন্তু সেই জ্ঞানটুকু থাকাটাও একান্ত প্রয়োজন, প্রকৃত অর্থেই আপনি জ্ঞানী কি না। সেই কারণে প্রথমেই প্রয়োজন এটি জানা যে, ঠিক কাকে ‘জ্ঞান’ বলবেন। এইখানেই ঘটে সমস্যা। ‘জ্ঞান’ যে ঠিক কী, তা ঠাহর করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।
‘মহাভারত’-এর দিকে তাকালে দেখা যাবে ‘জ্ঞান’ নামক ধারণাটিকে নিয়ে বার বার কথা বলেছে এই মহাকাব্য। প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিদের উদাহরণ দিয়ে মহাভারত বোঝাতে চেয়েছে কাকে বলা যায় ‘জ্ঞান’।
মহাভারত-এ সবথেকে প্রাজ্ঞ ব্যক্তি কে- এই প্রশ্ন উঠলে এই গ্রন্থের পাঠকদের একটা বড় অংশই চোখ বুজে বিদূরের নাম করবেন। গোটা মহাভারত জুড়ে বিদূরের উপস্থিতি এমন এক বাতাবরণ সৃষ্টি করে, যা সেই কাব্যের কাহিনিকাঠামোয় নিয়ত ঝড় তোলা রাজনীতি আর সংঘাতকে পেরিয়ে তাকে এক অন্য মাত্রায় স্থিত করে। মহাভারত-এর রচয়িতা ব্যাসদেবের সন্তান বিদূর নিজের ভিতরে জ্ঞান ও বাস্তবতার সম্মীলন ঘটাতে সমর্থ হয়েছিলেন।
পরবর্তী জীবনে তিনি কুরুকুলপতি ধৃতরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। সেই কাজেও তিনি বার বার প্রজ্ঞা ও মেধার পরিচয় রাখেন। স্বয়ং বিদূর নিরূপণ করেছিলেন প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তির পরিচয় কী হতে পারে, কী দেখে বোঝা যায় একজন ব্যক্তি প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন কি না।
ধৃতরাষ্ট্রের বিবিধ প্রশ্নের উত্তরে বিদূর জ্ঞানী ব্যক্তির লক্ষণ সম্পর্কে যা ব্যক্ত করেছিলেন, তা এ ধরনের-