নিউজ ডেস্ক:
নরসিংদীর শিবপুরের জোড়া খুন মামলায় বখাটে কিরণ মিয়াকে নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জহিরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রোববার বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিক ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন নিতাই গোপাল দেবনাথ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বজলুর রশিদ ও দেলোয়ারা বেগম বেলা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, নরসিংদীর শিবপুরের শিক্ষার্থী ইতিয়াজ বেগম ইতিকে (১৭) প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করত একই এলাকার কিরণ মিয়া। প্রেম প্রস্তাবে বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে বখাটে কিরণ মিয়া দলবলসহ জোরপূর্বক ইতিকে তুলে নিতে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এতে বাধা দিলে ইতির ভাবী রুবি বেগম ও আত্মীয় মো. ফারুককে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ২০০২ সালের ২২ আগস্ট রুবি বেগমের স্বামী বাদি হয়ে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১১ সালের ২৮ জুন নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ এ কে এম আবুল কাসেম আসামি কিরণ মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড ও জহিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামি জহির। কিন্তু কিরণ মিয়া পলাতক থাকায় কোনো আপিল করেননি। তবে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য কিরণ মিয়ার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।
গতকাল রোববার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলে শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।