নিউজ ডেস্ক:
আমাদের শরীরের সবচেয়ে জটিল অঙ্গটির নাম মস্তিষ্ক। তাই এর বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু নিজের অজান্তেই আমরা প্রতিদিন এমন কিছু করি যার কারণে আমাদের মস্তিকের ক্ষতি হতে পারে। আসুন জেনে নেই মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু প্রাত্যহিক বিষয় সর্ম্পকে।
১। ধূমপান
স্বাস্থ্যের উপর ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব আছে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। ধূমপানের ফলে শুধু মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে যায় তাই নয় বরং অঙ্গের মেরামতের কাজকে ধীর গতির করে দেয় এবং স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
২। ব্যায়াম না করা
ব্যায়াম করলে স্ট্রেস কমে এবং সংবহনের উন্নতি ঘটে। ব্যায়াম না করলে হরমোনের উৎপাদন এবং অন্য ক্ষতিকর রাসায়নিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় শরীরে। জ্ঞানীয় দক্ষতা এবং স্মৃতি হ্রাসের প্রবণতা দেখা যায়।
৩। স্ট্রেস
স্ট্রেস মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে। স্ট্রেসের কারণে মস্তিষ্কে করটিকোস্টেরয়েড নামক যৌগ নিঃসৃত হয়। এই হরমোন নিউরনের উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং নিউরনকে স্নায়বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ প্রবণ করে তোলে। আমেরিকার আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণা মতে নিয়মিত স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে মানুষের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় এবং এর ফলে স্বল্প মেয়াদী স্মৃতি নষ্ট হয়।
৪। কম ঘুম
আপনি যদি নিদ্রাহীন রাত যাপন করেন তাহলে আপনার মস্তিষ্কের কাজের উপর প্রভাব পড়বে। এটা শুধু আপনার চেতনার উপরই প্রভাব ফেলবেনা আপনার ফোকাসের ক্ষমতা, মনে রাখা এবং মেজাজের ওপরেও প্রভাব ফেলবে।
৫। কীটনাশক
আমরা যে ফল ও সবজিগুলো কিনি তার বেশীরভাগেই প্রচুর কীটনাশক থাকে। মস্তিকের উপর কীটনাশকের প্রভাব আছে যার ফলে নিউরনের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ সময় যাবৎ কীটনাশক গ্রহণ করলে পারকিনসন্স ডিজিজ হতে পারে।
৬। অ্যালকোহল
রুতগর বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় জানা যায় যে, মধ্যম থেকে বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন করলে মস্তিষ্কের গঠনগত অখন্ডতা নষ্ট হয় এবং মস্তিষ্কের কোষের উৎপাদনকে ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
৭। বায়ু দূষণ
নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় জানা গেছে যে, ঘরের ও বাইরের উভয় ধরনের বায়ু দূষণের ফলেই শ্বাসনালীতে ইনফ্লামেশন হতে পারে, যার কারণে মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু হয়।
৮। জাঙ্ক ফুড
জাঙ্ক ফুড অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়াকে পাল্টে দেয় যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে শুধু মেজাজের উপরই প্রভাব পরেনা আপনার আচরণকেও পরিবর্তন করে দিতে পারে, উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি করে, বিষণ্ণতার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দেয়।
সূত্র: দ্যা হেলথ সাইট