নিউজ ডেস্ক:
ঝড়-বৃষ্টির সময়ে এক অসীম শক্তির বিভীষিকার নাম বজ্রপাত। বাংলাদেশে বজ্রপাত ও এর আঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে। কাজেই বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে সচেতন হতে হবে। এ সম্পর্কে কিছু পরামর্শ ও অন্যান্য কিছু তথ্য তুলে দেওয়া হলো।
মে-জুন মাস কালবৈশাখী ঝড়ের মৌসুমে ব্যাপক বজ্রপাত ঘটে। এ ছাড়াও বড় কোনো ঝড় বা বৃষ্টিপাত ছাড়াই সামান্য ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গেই ঘটছে বজ্রপাতের ঘটনা। আর বাড়ছে অনাকাঙ্খিত হতাহতের ঘটনা। এখন জেনে নিন বজ্রাঘাত থেকে বাঁচতে আপনার কি করণীয়-
১. মে-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। সাধারণত বজ্রপাতের সময়সীমা ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু বাড়িতেই অবস্থান করুন।
২. আকাশে ঘন কালো মেঘ মানেই বজ্রপাতের সমূহ সম্ভাবনা। এ সময় জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে রাবারের জুতা পরে নিন।
৩. যেহেতু খোলা মাঠ ও গাছ-পালা বিপজ্জনক, কাজেই এসব স্থানে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে কানে আঙুল চেপে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন।
৪. দালান বা কংক্রিটের স্থাপনার নিচে আশ্রয় নিন। টিনের ঘর বা চালা এড়িয়ে চলুন।
৫. উঁচু গাছ, খুঁটি, তার ও ধাতব খুঁটি বা মোবাইল টাওয়ার এড়িয়ে চলুন।
৬. ঝড় ও বজ্রপাতের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং ও পাইপ থেকে দূরে থাকুন।
৭. খোলা স্থানে কয়েকজন একসঙ্গে থাকলে প্রত্যেকেই ৫০-১০০ ফুট দূরত্বে সরে যান।
৮. বাড়ির ছাদে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করতে হবে। এ ব্যবস্থা না থাকলে বাড়ির ভেতরে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা কক্ষে চলে যান।
৯. গাড়ির মধ্যে থাকলে ধাতব অংশ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
১০. ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না।
১১. নদী বা সমুদ্রে নৌকায় থাকলে দ্রুত তীরে ফেরার চেষ্টা করুন। সম্ভব না হলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করতে হবে। এর বাইরে যাবেন না।
১২. কেউ বজ্রাহত হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় বৈদ্যুতিক শকে আহত হলে যে চিকিৎসা দিতে হয়, সেই চিকিৎসাই দেবেন। তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।