জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে আজ বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক। রাজধানীর হেয়ার রোডে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চসহ রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকেই স্পষ্ট হবে, কবে ঘোষণাপত্রটি দেওয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট-প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষিত হবে।’
এদিকে, ‘জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা!’ স্লোগানে সাতটি বিষয় জুলাই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি সারা দেশে জনসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা।
১.জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনা মূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিত্সা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করা।
২.বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা।
৩.অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা।
৪.১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করা।
৬.নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি রাখা।
৭.বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দেওয়া।