জীবননগর উপজেলার ১৪টি ইটভাটার পতিত জমির মাঠগুলো এখন সবুজ ফসলে ভরে উঠেছে। ইটভাটার জমিতে ফসল চাষ হয় না, এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে জীবননগরের ইটভাটার মালিকরা ভাটার পতিত জমিতে ফসল ফলাচ্ছেন। ইটভাটা ব্যবসায়ীরা জানান, বছরের যে সময়টায় ইট পোড়ানো বন্ধ থাকে, সে সময় পতিত জমিতে ধান চাষ করছেন তারা। ভালো ফসল হওয়ায় শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থাও হচ্ছে সেখানে।
ইটভাটা ব্যবসায়ীরা বলেন, বছরের অর্ধেক সময় ইটভাটাগুলোতে ইট পোড়ানো হয়। বাকি সময় ভাটা বন্ধ থাকে। এসময় ভাটার শ্রমিকেরাও কর্মহীন হয়ে পরে। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলার ১৪টি ভাটার ১২০ বিঘা জমিতে ধান, মিষ্টি কুমড়া, কলাসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হচ্ছে। যেখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন ভাটার শ্রমিকরা। এতে শ্রমিকদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণেও সহায়ক হচ্ছে।
ইটভাটা শ্রমিক আতিয়ার রহমান, আবুল হোসেন ও মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরের ৬ মাস ভাটায় কাজ করি। বর্ষা মৌসুমে ভাটা বন্ধ থাকে, এসময় আমাদের কর্মহীন থাকতে হয়। তবে ইটভাটা মালিকরা এখন ভাটার পতিত জমিতে ধানসহ বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে আমরা কাজের সুযোগ পাচ্ছি।’
পিয়াস ইটভাটার মালিক পিয়াস মিয়া বলেন, ‘এ বছর ইটভাটার ১২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ভাটার শ্রমিকরা তা পরিচর্যা করছে। গত বছর ধান চাষ করেছিলাম, এবারও করেছি। এ বছর প্রতি মণ ধান বাজারে ১২০০-১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধান চাষ লাভজনক হওয়ায় শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি খাদ্য চাহিদা পূরণেও অবদান রাখতে পারছি।’এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন, ইটভাটার জমিগুলো এক সময় পড়ে থাকতো। এখন চাষের আওতায় আসছে। ভাটা বন্ধের সময় ধান, সবজি, ফলসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ইটভাটা মালিকদের পতিত জমিতে চাষে আগ্রহী করে তুলতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। সঠিক পরামর্শসহ তাদের সব ধরনের সহযোগিতাও করা হচ্ছে।