নিউজ ডেস্ক:
আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের এক দিনমজুর শিমূল গাছ থেকে তুলা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে করুন মৃত্যু হয়েছে। গাছে ঝুলে থাকা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট দিনমজুর আশরাফ আলীর ৫৫) লাশ পরবর্তীতে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সহযোগীতায় পরিবারের সদস্যরা নিচে নামিয়ে আনে।
ঘটনাটি সোমবার সকালে সংঘটিত হয়েছে। এদিকে নিহতের ছেলে মনিরুল ইসলাম কারাগারে বন্দী থাকায় তাকে প্যারোলে মুক্তির পর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছেন পরিবার। হবেএ ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি অপমৃত মামলা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্র জানান, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া খাঁপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে কৃষক আশরাফ আলী (৫৫) সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তার প্রতিবেশী মহর আলীর বাড়ীর একটি শিমূল গাছ থেকে সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তুলা পাড়তে গাছে ওঠেন। তুলা পাড়ার এক পর্যায়ে গাছের একটি ডাল ভেঙ্গে বিদ্যুৎ লাইনের ওপর পড়ে। পরবর্র্র্তীতে ওই ডালটি ধরে টান দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান এবং গাছের ডালের ফাঁকে ঝুলে থাকে।
নিহতের বড় ছেলে হাফিজুর রহমান বলেন, আমার আব্বা আশরাফ আলীকে প্রতিবেশী মহর আলী তার গাছ থেকে তুলা পাড়তে জন নেয় এবং সোমবার সকালে গাছ থেকে তুলা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সহযোগীতায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর আমার পিতার লাশ গাছ থেকে নিচে নামানো হয়।
আমার ছোট ভাই যৌতুক আইনে জেল হাজতে থাকায় তাকে প্যারোলে মুক্তির পর বিকালে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,নিহত আশরাফ আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম জেল হাজতে আছে। শুনছি তার প্যারোলে মুক্তি হয়েছে এবং বিকালে ছেলের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহত আশরাফ আলী প্রতিবেশী মহর আলীর শিমূল গাছ থেকে তুলা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। তার ছেলে মনিরুল ইসলামকে আদালত দু’ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছেন এবং তার উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ শেষে তাকে আবার জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।