নিউজ ডেস্ক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার ৪২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার শুনানি শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই অভিজিৎ চৌধুরী ওই শিক্ষার্থীদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে জহিরুল ইসলাম, সানাউল হক টিপু, হাবিবুর রহমান প্রমুখ আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। ওই ৪২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জন ছাত্রী।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- নাজমুল হুসাইন, সুস্মিতা মরিয়ম, মালিহা মোস্তফা, অর্থি দাস, মাহথির মোহাম্মদ, মো. দিদার, নাজির আমিন চৌধুরী জয়, চন্দন দীপ মিত্র, সৌমিত্র সাহা পার্থ, জেনিফার এহসান, রাকিবুল হক, নাজমুল হাসান নাইম, মাসুক হোসাইন অনিক, রাতুল খালিদ, অমিত হাসান ওরফে সোহাগ, মাকসুদুর রহমান আবির, মুশফিকুস সালেহীন, মাহাফুজুর রহমান, সম্পদ অয়ন মার্ডি, সরদার জাহিদুল ইসলাম, ফেরদৌস মোহাম্মদ লিয়ন, মমিন, আশিকুর রহমান, খান মোবারক ইবনে আছাদ, আলবি নাবিদ, তৌহিদুজ্জামান, মতিউর রহমান শোভন, অর্ণব, মেহেদী হাসান তন্ময়, মোহন আফজাল পৃথিবী, শাওন কৈরি, ফরহাদ রেজা, ওসনিন আরা অন্তরা, মৌশ্রী দাস, রেজিনা আহম্মেদ, পুজা বিশ্বাস, শাহিনুর আক্তার, আশিকুর রহমান, তাসনুফা তাজিম, মাহমুদা আক্তার কণা, শ্রেষ্ঠা হালদার এবং হাসান জামিল।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলসংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নাজমুল হাসান ও মেহেদি হাসান নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি, নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, গতিরোধক ও পদচারী-সেতু (ফুটওভারব্রিজ) নির্মাণসহ আরো কয়েকটি দাবিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ কারণে মহাসড়কে পাঁচ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে পুলিশ। এতে সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
শনিবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং একপর্যায়ে উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর চালান। পরে শিক্ষকলাঞ্ছনা, ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় ৩১ জন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়।