নিউজ ডেস্ক:
সব শিশুর জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জাগো ফাউন্ডেশন সাফল্যের সঙ্গে পথ চলার এক দশক পূর্ণ করেছে। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান করার পাশাপাশি অনগ্রসর এলাকায় অবকাঠামো ও শিশুদের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
করভী রাখসান্দের হাত ধরে দেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়া জাগো ফাউন্ডেশনের অধীনে দুই হাজার ৫০০ সুবিধাবঞ্চিত শিশু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১৩টি স্কুলে পড়াশোনা করছে। টেকনাফ ও বান্দরবনসহ ১০টি অনলাইন স্কুলের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা পাচ্ছে শিশুরা।
এসব স্কুলে প্রতি ১৪ জন শিশুর জন্য একজন করে শিক্ষক আছেন। শিশুদের মধ্যে ৫১ শতাংশ মেয়ে শিশু। তাদের প্রতি মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুষ্টিকর খাবার ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিতে নজর দেয় জাগো ফাউন্ডেশন।
বর্তমানে ৩২টি জেলায় ২৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক জাগো ফাউন্ডেশনের জন্য কাজ করছে।
জাগোর প্রতিষ্ঠাতা করভী রাকশান্দ বলেন, মানুষ একে দাতব্য কাজ বললেও আমি মনে করি এটা কর্তব্য।
জাগো ফাউন্ডেশনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে করভী বলেন, জাগোর ১০ বছর পূর্ণ হল। আমরা এখন আরও আত্মবিশ্বাসী, সুগঠিত ও উদ্যোগী। আমরা মনে করি, জাগো এমন জায়গায় আসতে পেরেছে যেখান থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেকসই শিক্ষা দেওয়া সম্ভব।
এক দশকে জাগো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরির পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও স্পন্সরশিপের দায়িত্ববোধ তৈরি করেছে। এক হাজার ৭০০ শিশুকে স্পন্সর করছেন অভিভাবকেরা। স্পন্সর করতে অভিভাবকদের মাসে দুই হাজার টাকা করে শিশুদের পড়াশোনার জন্য দিতে হয়। এছাড়া জাগোর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণেরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন।