নিউজ ডেস্ক:
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেছে চীন। বুধবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ধারাটি বাতিলের বর্ষপূর্তিতে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছে। ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কাশ্মিরের বিশেষ স্বীকৃতি প্রত্যাহার করার বর্ষপূর্তির দিন চীন আবারও তাদের আগের অবস্থানের কথা জানিয়েছে। বেইজিং দাবি করে আসছে, ‘জম্মু-কাশ্মির নিয়ে একতরফা যে কোনো সিদ্ধান্ত অবৈধ ও অকার্যকর’। গত বছর বেশ কয়েকটি বিবৃতিতেও ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে একই অবস্থান জানিয়ে আসছিল পাকিস্তানের মিত্র চীন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে ভারত। তিন মাস বাদে গত অক্টোবরে জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়।ভারতের এই পদক্ষেপের প্রভাব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চীন কাশ্মির এলাকার পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে। কাশ্মির প্রশ্নে চীনের অবস্থান পরিষ্কার, স্পষ্ট, অবিচল। এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ইতিহাসের অমীমাংসিত এক বিতর্ক। জাতিসংঘের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতেও বিষয়টি উঠে এসেছে।কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার বাতিল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ওয়েনবিন বলেন, স্থিতাবস্থায় একতরফা যে কোনো পরিবর্তন অবৈধ ও অকার্যকর। সংশ্লিষ্ট পক্ষের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথেই এই ইস্যুর সঠিক সমাধান করা উচিত।পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশই প্রতিবেশী বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, এটি অস্বীকার করা যাবে না, সহাবস্থানই উভয়ের মৌলিক স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে। দুটি দেশ আলোচনার মাধ্যমে মতবিরোধ সঠিকভাবে মিটিয়ে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে পারবে, যৌথভাবে উভয় দেশের ও বৃহত্তর অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সুরক্ষিত রাখতে পারবে বলে চীন আশা করে।