নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে মারধরের অভিযোগে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রাজা মিয়া ও তার সহোদর মানিক খানকে আটক করেছে তিতুদহ ফাঁড়ির পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপ্রতি হায়দার আলী বাদী হয়ে আটক ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন। গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। আটক হওয়া রাজা ও মানিক গিরিশনগর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীরের ছেলে।চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে মারধরের অভিযোগে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রাজা মিয়া ও তার সহোদর মানিক খানকে আটক করেছে তিতুদহ ফাঁড়ির পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপ্রতি হায়দার আলী বাদী হয়ে আটক ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন। গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে গিরিশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। আটক হওয়া রাজা ও মানিক গিরিশনগর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীরের ছেলে। জানা গেছে, গত দুইদিন আগে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর কাছ থেকে জোরপূর্বক মোবাইল নম্বর নেওয়ার চেষ্টাসহ বিভিন্ন সময় একাধিক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল রাজা মিয়া। ৫ ফেব্রুয়ারি স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এক ছাত্রীর সাইকেল টেনে ধরাসহ অপর একজনকে জড়িয়ে ধরে সে। বিষয়টি রাজের ভাই মানিককে জানালে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে রাজ। রাজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা ছাত্রীদের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে এক শিক্ষককে বিষয়টি জানায় দশম শ্রেণির এক ছাত্র। অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে ক্লাসের মধ্যেই ওই ছাত্রকে মারধর করে ইভটিজার রাজ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল দুপুরের দিকে শিক্ষকদের অফিসরুমে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। ওই সময় বিষয়টি মীমাংসা করারও চেষ্টা করা হয়। তবে আলোচনা চলাকালীন সময়ে দুই-এক কথায় ইভটিজার রাজা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শাহ্ আলমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে আহত করেন। শুরু হয় দুপক্ষের হাতাহাতি। খবর পেয়ে তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজা ও মানিককে আটক করেন। গতকাল বেলা তিনটার দিকে ওই দুই আসামিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। বিকেলের পর স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপ্রতি হায়দার আলী বাদী হয়ে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজা এর আগেও একাধিক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছে। অনেকেই মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে সাহস পেত না। গতকালও একই বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী প্রধান শিক্ষক বরাবর ইভটিজার রাজার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে। স্থানীয় লোকজনসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে, ইভটিজার রাজার পিতা জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। এই দাপটে রাজা ও তার ভাই মানিক দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি কেউ। রাজা মানিককে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করাসহ গতকালও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ওপর হামলা করেছে তারা দুজন। এ ঘটনায় স্কুলের সভাপতি বাদী হয়ে মামলা করেছে। আজ আটক ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট মামলাতে আদালতে প্রেরণ করা হবে।