নিউজ ডেস্ক:
‘দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ৷’ ওমহু, দেখেছি তার বাদামি রংয়ের চোখ! বিজ্ঞানীরা অন্তত তাই বলছেন৷ কেউ আপনার কাজল নয়নে মুগ্ধ হোক, কিংবা নীল নয়না সুন্দরীর প্রেমে আপনি যদি পাগল হন, আদপে তা চোখেরই ভুল৷ কারণ চোখের রং শুধুমাত্র বাদামী, এর বাইরে আর কোনো কিছু নয়৷ চক্ষু বিশেষজ্ঞ-গবেষক ড. গ্যারি হেইটিং জানালেন, মেলানিন রঞ্জকের কোষ মেলানোসাইটের রং শুধুমাত্র বাদামিই হয়৷ তাই প্রতিটি মানুষের চোখই বাদামি৷ তিনি বলেন, আইরিশে মেলানিনের পরিমাণের উপরই নির্ভর করে চোখের মণির রং কী হতে পারে৷
মেলানিনের পরিমাণ বাড়লে চোখের মণির রং তত বেশি গাঢ় হয়৷ চোখের দ্বারা কোনো রং শোষণ করার পরিমাণের উপরও নির্ভর করে মণির রং কী হবে৷ মেলানিন আলো শোষণ করে, ফলে যাদের চোখে মেলানিন বেশি, তাদের চোখ আরও বেশি দীঘল কালো থুরি বাদামি৷ যাদের চোখে মেলানিনের পরিমাণ কম, তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি আলো প্রতিফলিত হয়৷ এই পদ্ধতিকে বলে বিচ্ছুরণ৷ আলো বিচ্ছুরিত হলে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যে প্রতিসারিত হয়ে তা ফিরেও আসে৷ সেক্ষেত্রে চোখের রং নীল বলে মনে হয়৷
যে ব্যক্তিদের চোখের রং সবুজ কিংবা কটা, তাদের ক্ষেত্রে মেলানিনের পরিমাণ এই দুইয়ের মাঝামাঝি৷ এর ফলে জন্মানোর পর কোনো শিশুর চোখের রং নীল হলেও অনেক সময় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির চোখের রং কেন বাদামি হয়ে গেছে, এই ব্যাখ্যা পাওয়া যায়৷ কারণ শিশুটির বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইরিশে মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যায়৷ ক্রিস্টাল গেইল যেমন গেয়েছিলেন ‘ডোণ্ট টি মেক ইওর ব্রাউন আইজ ব্লু’ অথবা উল্টোটা৷