নিউজ ডেস্ক:
যে দেশের এক যোদ্ধা এক সময়ে বিশ্বজয় করেছিলেন! সেই দেশেরই এক ছোট্ট গ্রামের কথা হয়তো সকলেরই অজানা৷ চেঙ্গিস খাঁয়ের দেশের এই ছোট্ট গ্রামটি বরফে ঘেরা৷ আর তার মাঝেই রয়েছে ঘন বনজঙ্গল৷ আর তাতে বসবাস কয়েকশো মানুষের৷ যাদের প্রত্যেকেই বিশ্বের অন্যতম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য৷ এমনই এক গ্রামের বাসিন্দা দেলগের গোরশিক৷ পাহাড়ের কোলে তাঁবুর ভিতরে বসে তিনি শোনালেন তাদের জীবনকাহিনী৷
গোরশিক জানিয়েছেন, ছোটবেলায় সূর্যের আলো ছাড়া আলোর উৎস্য বলতে ছিল ছোট ছোট কিছু মোমবাতি৷ যদিও এখন তাদের মোমবাতির বদলে রয়েছে এখানে আলোর ব্যবস্থা৷ সোলার প্যানেলের সাহায্যে এখানে ঘরে ঘরে আলো পৌঁছে যায়৷ এছাড়া পশুদের চামড়া দিয়ে তৈরী হত এখানে বসবাসকারী বাসিন্দাদের জামাকাপড়৷ কিন্তু সেক্ষেত্রেও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন৷ মঙ্গোলিয়ার তুষারাবৃত বনাঞ্চলগুলিতে মোট জনসংখ্যার পরিমাণ ৩০০৷ তারা বাস করেন কাঠের বাড়িতে৷
তবে তিনি জানিয়েছেন, পরিবর্তন ভালো কিন্তু বেশি পরিবর্তন দেশের সংস্কৃতিও নষ্ট করতে পারে৷
মঙ্গোলিয়ানদের প্রধান ভাষা সাতান৷ এই অঞ্চলের বাসিন্দারা হরিণদের সঙ্গেই বসবাস করেন৷ তারা তাদের প্রয়োজনে পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তেও চলে আসেন মাঝে মধ্যে৷ ঋতুর পরিবর্তনের প্রভাব পরে তাদের জীবন যাপনেও৷
তবে এই গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য ওই গ্রামের বাসিন্দারা সরকারের সাহায্যও চেয়েছেন৷ তারা চাইছেন, তাদের গ্রামের যেন কোনো পরিবর্তন যেন না হয়৷ প্রকৃতির সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য গাছপালা কাটা যাতে বন্ধ করা হয় এবং পশু প্রাণী শিকার করা বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা৷ আর এর পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, বল্গাহরিণ এদের ঐতিহ্য, পরিচয়৷ তাই কোনোভাবে এদের যাতে নষ্ট করা না হয় তাই আবেদন জানানো হয়েছে সরকারের কাছে ৷