নিউজ ডেস্ক:
করোনা আতঙ্কে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে আসেছেন না কেউ। হাসপাতালের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১৬৫ জন রোগী, জরুরি বিভাগে মাত্র ৮০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। ভর্তি হয়েছে নারী, পুরুষ, শিশুসহ মাত্র ৫০ জন। এদের মধ্যে ভর্তির কিছুক্ষণ পর ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে অনেকে। করোনাভাইরাসের শঙ্কায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমতে শুরু করে। গত ২৪ মার্চ সদর হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ১০০ শয্যা হাসপাতালে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল মাত্র ৬ জন, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৮ জন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ২ জন, পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে ৩ জন, শিশু ওয়ার্ডে ৫ জন ও আর গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ৮ জন রোগী। ভর্তি রোগীর সঙ্গে কমেছে হাসপাতালে আসা স্বজনের সংখ্যা। কোনো কোনো রোগীকে একেবারে একা একাই বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। হাসপাতলের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন মাত্র ৬২ জন পুরুষ, ৭৪ জন নারী ও ৩০ জন শিশু। যেখানে অন্য সময় এক দিনে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকে ৬ শ অধিক রোগী। এদিকে, হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাব্বির আহম্মেদ ও কোয়ারেন্টাইন থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মরিয়ম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত বা করোনা সন্দেহে কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেই।