নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাইরে তালা দেওয়া, ভেতরে বেচাকেনা। হঠাৎ করেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের আগমন। ছাড় নেই কাউকে। খুঁজে খুঁজে বের করে জরিমানা করা হয়েছে প্রত্যেককে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের পুরাতন গলির মার্কেটে এ রকমই অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ৩১ জন ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে সাড়ে ৬২ হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ একইভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ৪৩ জনের কাছ থেকে সর্বমোট ৭২ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
জানা গেছে, নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রেখে পণ্য কেনাবেচা করছেন কিছুকিছু দোকানিরা। বাইরে থেকে দোকান তালাবদ্ধ থাকলেও ভেতরে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় চলছিল। দোকানের ছাদেও চলছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেনাবেচা। ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসব ক্রেতা-বিক্রেতাকে জরিমানা করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ জেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি দোকান, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জনসমাবেশ বন্ধ করা, বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতায় এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী ৫টি মোবাইল কোর্টে ৪৩ জনের কাছ থেকে ৭২ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩১ জনকে ৬২ হাজার ৪৫০ টাকা, জীবননগর উপজেলায় ৮ জনকে ৯ হাজার ২ শ টাকা, দামুড়হুদা উপজেলায় ৪ জনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।