এসএসসিতে আশানুরুপ ফল না পাওয়ায় মেধাবী ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম (১৬)। এ বছর বিদ্যালয়ের আড়াই’শ সহপাঠীর সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে সে। ফলাফল জিপিএ-৪.৪৪ (এ)। তবে এই ফলাফলে সে হতাশ। আর এই হতাশায় তার জীবনে এনে দিলো চরম বিতৃষ্ণা। জিপিএ-৫ না পাওয়ায় ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলে পড়লো সিলিং ফ্যানে। অভিমানী মেয়ের এই অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হয় মায়ের। জোর পূর্বক ঘরের দরজা খুলে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। তাৎক্ষণিক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তার শারীরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে তার পিতা চুয়াডাঙ্গা শহরের মুক্তিপাড়ার বাসিন্দা ও বিশিষ্ট মেশিনারীজ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের সিদ্ধান্তে দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে (হেলিকপ্টার) রাজধানী ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। ভাগ্যক্রমে ঘাড় ও গলার দু’একটি গুরুত্বপূর্ণ শিরায় আঘাত প্রাপ্ত হলেও এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায় মেধাবী স্কুলছাত্রী সুমাইয়া।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমাইয়া অত্যান্ত মেধাবী ছাত্রী। এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার আগ থেকেই প্রত্যাশা ছিল জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হবে সে। কিন্তু সোমবার দুপুর নাগাদ অনলাইনে ফলাফল জিপিএ-৪.৪৪ দেখার পর পরই কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় তার মা দরজায় ধাক্কা দিয়ে খুলে ভেতরে ঢুকে গলায় ওড়ানা পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে তাকে। এ অবস্থায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্কয়ার হাসপাতালের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেয়া হয় তাকে। তবে স্কয়ারের আইসিইউ ওয়ার্ডের বেড ফাঁকা না থাকায় তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয় তার।
চিকিৎসকরা বলেন, ‘শক্ত ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে থাকার কারণে গলা ও ঘাঁড়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শিরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। তবে সে এখন বিপদমুক্ত।’