নিউজ ডেস্ক:“সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্য স¤পন্নদের অধিকার’ প্রতিপাদ্য চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার পৃথক সময়ে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা:
জেলা প্রশাসন ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় ১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ছানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সমাজ সেবা কর্মকর্তা রোম্মানা বিলকিস। র্যালি ও আলোচনা সভা শেষে ১৮ জন অসচ্ছল প্রতিবন্ধীর মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
দামুড়হুদা:
“সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্য স¤পন্নদের অধিকার’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দামুড়হুদায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে এক র্যালি বের হয়ে চিৎলা সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবুল কাশেম, উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর জামাত আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক কামাল উদ্দীন, অফিস সহকারী মুনছুর আলী। প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান মাও:আজিজুর রহমান তার বক্তবে বলেন, অটিজম এমন একটি ব্যাধি যার কোন চিকিৎসা নেই। যেমন অতীতে আমরা বলতাম যক্ষা হলে রক্ষা নাই কিন্তু বর্তমানে এই কথাটির আর কোন ভিত্তি নাই। কারণ যক্ষার মত মরণব্যাধির যখন চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে অটিজমেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
জীবননগর:
“সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট সম্পর্ণ ব্যক্তির অধিকার” প্রতিপাদ্যে জীবননগরে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে র্যালি, আলোচনা সভা ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়ার কনসালটেন্ট ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. মাহমুদা নাছরিন, এমটি ইপিআই জুলফিক্কার, এসআই আনিসুর রহমান প্রমুখ।
মেহেরপুর:
“সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে ১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তৌফিকুর রহমান। র্যালিটি মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অলোক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার লিয়াকত হোসেন, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহন করে। র্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তৌফিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অলোক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার লিয়াকত হোসেন, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তুলশি কুমার প্রমুখ।