চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় জাল ভোটের চেষ্টায় প্রিজাইডিং অফিসারসহ আটক ৩

0
8

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের আশেপাশে গোলোযোগ সৃষ্টির কারণে ৯ জনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। গতকাল রোববার নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে গতকাল রাত ৯টার পর মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। আটকককৃতরা হল- দৌলতদিয়াড় এলাকার খাদেমুল ইসলামের ছেলে ডাবলু (৩০) ও মিনারুল ইসলামেরর ছেলে সাঈদ (২৬), আরমপাড়ার আব্দুল আজিমের ছেলে ইমান আলী (৩০), ইসলামপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে সজিব (২৫), মুকুলের ছেলে রাসেল (২২) ও তরিকুল ইসলামের ছেলে অরুপ (৩৬), কুলচারার মৃত রেজাউল ইসলামের ছেলে মামুন (২৫), শ্রী সবল চন্দ্রদাসের ছেলে খোকন (৩৩) ও আলমডাঙ্গা খুদিয়াখালি গ্রামের আল আমিন (২৮)। পুলিশ জানায়, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে আটককৃতরা তাদের নিজ নিজ এলাকার নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলো। এসময় ওই সকল এলাকাতে মোবাইল টিমসহ বিভিন্ন টিম তাদের আটক করে। পরে আটককৃতদের গতকাল রাতেই লিখিত মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে,উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার বলয় থাকলেও দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগের দুই প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরের তাদের আটক করা হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ব্যালট পেপার বক্সে ঢুকানোর অভিযোগ ওঠে।
প্রশাসনিক সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গার বড় গাংনী দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসায় নৌকার প্রার্থীদের যোগসাজসে প্রিজাইডিং অফিসার আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক ইকরামুল হোসেন ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোগাইল বগাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুরাতন নেছা গোপনে ব্যালট পেপার সিল মেরে বাক্সে ভরার সহযোগিতা করায় ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসরাত জাহান তাদের হাতেনাতে আটক করে। এছাড়া তাদের নিকট থেকে ২৫৩১নং ব্যালট পেপার বইয়ের পাতায় নৌকা প্রতীকের সিল মারা অবস্থায় ছিলো। সিলযুক্ত ব্যালট পেপার ছিড়ে বাক্সের মধ্যে ভরছিলো। এমন সময় স্থানীয়দের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসরাত জাহান ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের হাতে নাতে আটক করে। কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেন, সম্পূর্ণ বই ছিড়ে বাক্সে ভরা হয়নি। শুধু বই এর ২৯নং পাতা থেকে ৭৮নং পাতা পর্যন্ত মোট ৪৯টি নৌকা প্রতীকের ভোটের পেপার বাক্সে ভরা হয়েছে।
এছাড়া, খাদেমপুর ইউনিয়নের মাজহাদ গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে শাহীন আলীকে নিজ হাতে নৌকা প্রতীকের ভোট কেটে ব্যালট বক্সে ঢোকানোর অপরাধে তাকে আটক করে পুলিশ। তাছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর, পাঁচকমলাপুর, কুমারী, হাটবোয়ালিয়া, রুইতনপুর, গোপালনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় জোরপূর্বক ভোট কারচুপির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ইকরামুল হোসেন ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোগাইল বগাদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুরাতন নেছাকে আটকের পর গতকাল রাতে মুচলেকার মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নানের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরেন।