নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় ইতিমধ্যে গরমের পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে। এই গরমে সাপের উপদ্রব দেখা মিলবে। প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েক শ’ রোগী সর্পদংশনের শিকার হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তবে, এবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এন্টিভেনম ইনজেকশন গত ৮ মাস যাবত সরকারিভাবে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে রোগীদের জন্য বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনতে হচ্ছে এই ইনজেকশন। সাপের কামড়ে প্রত্যেক রোগীকে প্রায় দশটি এন্টিভেনম ইনজেকশন দিতে হয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। যার প্রতিটি মূল্য এক হাজার টাকা করে। যা দুস্থ, গরীব ও অসহায় রোগীদের কেনার সামর্থ্য নেই। ফলে তাদের কোন দুর্ঘটনা ঘটলে চিকিৎসা না পেয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ইতিমধ্যেই আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট চিঠি পাঠিয়েছি, তারা বলেছেন সারাদেশে কোথাও সাপ্লাই নাই। নতুন করে তৈরি করে সব জেলায় সরবরাহ করা হবে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে কয়েকজন জানান, ঘটনাচক্রে কোন গরীব, দুস্থ ও অসহায় রোগী সর্প দংশনের শিকারের পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাহলে তাঁর সামর্থ্য নেই এন্টিভেনম ইনজেকশন কেনার। যদি সরকারিভাবে সরবরাহ থাকতো তাহলে যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবেন রোগীরা।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম বলেন, গত একমাস যাবত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সরবরাহ বন্ধ সরকারিভাবে। ইতিমধ্যে আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট চিঠি পাঠিয়েছি। তারা বলেছেন, সারাদেশে কোথাও সরবরাহ নাই। নতুন করে মজুদ করার পরই দেশের সব জেলাতেই সববরাহ করা হবে বলে।