নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জের জুগিরহুদায় রিমা খাতুন (১৭) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ঘরের জানালা দিয়ে রিমা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ওই মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। মৃত রিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের সরোজগঞ্জ জুগিরহুদা গ্রামের বাজারপাড়ার আব্দুর রহমানের মেয়ে ও বদরগঞ্জ বাকি বিল্লা কামিল মাদ্রাসার ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে রিমা খাতুনের মা মাছুরা বেগম ও বড় বোন সীমা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রিমা খাতুনের খালার বাড়িতে বেড়াতে যান। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে রিমাকে ডাকাডাকি করেও খুঁজে না পেয়ে ঘরে ঢুকতে যেয়ে দেখেন, ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রিমার লাশ দেখতে পান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা জানালা ভেঙে রিমাকে নিচে নামিয়ে আনেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
রিমার পিতা আব্দুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে কাউকে না দেখতে পেয়ে তিনি মনে করেন, রিমাও হয়তো তাঁর মায়ের সঙ্গে খালার বাড়িতে বেড়াতে গেছে। পরে গতকাল রিমার মা ও বোন বাড়িতে ফিরে রিমাকে ডাকাডাকি করলে তিনি জানতে পারেন, রিমা বাড়িতেই ছিল। পরে তাঁরা রিমার ঘরে খুঁজতে গেলে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পান না। পরে জানালা দিয়ে তাকিয়ে রিমাকে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।
রিমার আত্মহত্যার ব্যাপারে কোনো কারণ বলতে পারেননি তার পরিবারের সদস্যরা। পারিবারিক কোনো ঝামেলা বা মান-অভিমান কোনো কিছুই হয়নি রিমার। তাই রিমা কেন, কখন এবং কী কারণে আত্মহত্যা করছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান জানান, ‘আমরা একটি অপমৃত্যুর মামলা পেয়েছি। প্রাথমিক তদন্তে এটাকে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’