নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় সন্ধ্যারাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রচারকর্মী সোহেল রানাসহ পৃথকস্থানে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তদের আঘাতে জখমদের পৃথক পৃথকস্থান থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে লেবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এরিপোর্ট লেখাপর্যন্ত রেফার্ড করার প্রক্রিয়া চলছিলো। আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষের প্রচারকর্মী সোহেল রানা (২৮), পৌর এলাকার ঈদগাপাড়ার মৃত শফি খন্দকারের ছেলে লেবু (২৫) এবং সরকারি মহিলা কলেজপাড়ার শামসুজ্জামানের ছেলে সাঈদ ইবনে জামান মীম (২২)। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষ প্রার্থীর প্রচারকর্মী সোহেল রানা জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্যাটারিচালিত অটোবাইক নিয়ে ধানের শীষের প্রচার করছিলাম। পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরের কবরী রোডের মোড় পার হতেই ১০/১৫ জনের একদল যুবক আমাকেসহ অটো নিয়ে জোর করে সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে নিয়ে যায় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে সেখানে তারা আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানার পিঠে ৩০টা সেলাইসহ যাবতীয় চিকিৎসা প্রদান করেন। এদিকে আহত লেবু বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী ‘ট’ বাজারে ফকিরের চা’য়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। এসময় শহরের মাঝেরপাড়ার কয়েকজন যুবক এসে আমাকে ডাকে। আমি যেতে না চাইলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক লেবুর হাত, মাথা ও পিঠে অসংখ্য সেলাইসহ যাবতীয় চিকিৎসা প্রদান করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, লেবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। যে কোন সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য লেবুকে রেফার্ড করা হতে পারে। এদিকে, হামলায় আহত সাঈদ ইবনে জামান মীমের কাছে কিভাবে আহত হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য এই প্রতিবেদককে দেননি। তবে মীমের মাথা ও পিঠে কোপের চিহ্ন দেখা যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, আহত লেবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব ধরণের পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর বলা সম্ভব হবে তার ক্ষতটা কি অবস্থা? তবে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হতে পারে। এদিকে সোহেল রানার বিষয়ে বলেন, তার পিঠে কোপে লেগেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং তাকে ৩০টা সেলাই দেওয়া হয়েছে। সাঈদ ইবনে জামান মীমের বিষয়ে বলেন, তার মাথায় ও পিঠে কোপ লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডিউটিরত পুলিশ সদর উদ্দিন বলেন, তিনজনকে কুপিয়েছে। তারমধ্যে সোহেল রানা নামের একজনকে সরকারি কলেজের মধ্যে কুপিয়ে জখম করেছে কয়েকজন যুবক। সোহেল রানা ধানের শীষ প্রার্থীর প্রচারকর্মী বলেও জানতে পেরেছি। অপরদিকে, লেবুকে ‘ট’ বাজারের মধ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন ও সাঈদ ইবনে জামান মীমের বিষয়ে তিনি বলেন, সে আমাকে তেমন কিছু বলেনি বলে জানায় এই পুলিশ কর্মকর্তা। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, একজনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। অপরাধী যুবকদের ধরতে অভিযান চলছে। ধানের শীষ প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কোপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ধানের শীষ প্রার্থীর প্রচারকর্মীর সাথে কয়েকজন যুবকের বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তবে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেনি।