কর পরিশোধ না করলে উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব নয়
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় চার দিনব্যাপী আয়কর মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’- প্রতিপাদ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় পৌর শহরের সরকারি কলেজ সড়কের সাহিত্য পরিষদে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তত্ত্বাবধানে কর অঞ্চল খুলনার অধিক্ষেত্রাধীন উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় চুয়াডাঙ্গা এ মেলার আয়োজন করেছে। রঙিন বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামসহ অতিথিরা।
এর আগে কর অঞ্চল খুলনার যুগ্ম কমিশনার মুহিতুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার ইরানুর রহমান। তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আয়কর মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর ও কাস্টমসের মাধ্যমে যে আয় করে, তা দেশের উন্নয়ন ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয় করে। দেশের উন্নয়নে আমরা সবাই কর দেব এবং দেশের উন্নয়নে সামিল হব। বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারার সূচনা হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে হলে সবাইকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আয়কর পরিশোধ করতে হবে। এটা নাগরিক দায়িত্ব। নাগরিকেরা যথাযথভাবে কর পরিশোধ না করলে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, জেলা আয়কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন খান ও আয়কর আইনজীবী মহ. শামসুজ্জোহা।
এ বছর চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ করদাতা হয়েছেন ৭ জন। তাঁরা হলেন দীর্ঘমেয়াদী করদাতা শহিদুল হক মোল্লা ও খোরশেদ আলম, যুব করদাতা আবু তাহের মো. হাসানুজ্জান, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এবং সর্বোচ্চ করদাতা সবিতা আগরওয়ালা, সাইফুন্নাহার আকতার শাম্মী ও আক্তারী জোয়ার্দ্দার।