চুয়াডাঙ্গায় ঘন্টাব্যাপী কাল বৈশাখীর তাণ্ডব!

0
23

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বৈদ্যুতিক খুটি-তার, গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর থেকে প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী ঝড়ের তাণ্ডব চলে। সেই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি। বৈশাখের শেষ সময় এভাবেই জানান দিয়ে গেল প্রকৃতি। আজ পহেলা জ্যৈষ্ঠ। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ঝড়টি ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। তবে মূল ঝড়টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৫ মিনিট।

তারসঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩১ মিলিমিটার পর্যন্ত।চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরসহ আশপাশ এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বৈদ্যুতিক খুটি-তার, গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর থেকে প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী ঝড়ের তাণ্ডব চলে।

সেই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি। বৈশাখের শেষ সময় এভাবেই জানান দিয়ে গেল প্রকৃতি। আজ পহেলা জ্যৈষ্ঠ। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ঝড়টি ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। তবে মূল ঝড়টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৫ মিনিট। তারসঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩১ মিলিমিটার পর্যন্ত। চুয়াডাঙ্গা শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বড় বাজার, শহীদ হাসান চত্বর, কোর্টমোড়, নতুনবাজার, পুলিশ লাইন, কবরী রোড, একাডেমি মোড়, রেলস্টেশন, টার্মিনাল, সরকারি কলেজ রোড, কাঠপট্টি, হাসপাতাল রোড, বেলগাছি ও দৌলাতদিয়াড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে এসব এলাকা অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় উপড়ে-ভেঙে পড়ে আছে গাছ ও গাছের ডাল।

কোথাও আবার বৈদ্যুতিক খুটি-তার আছড়ে পড়েছে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর। দৌলাতদিয়াড় টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে একটি শতবর্ষী কড়ইগাছ উপড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের ওপর পড়েছে।

এতে ওই ট্রাকটিসহ একটি দোকান ক্ষতিগ্রস্তসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার রাস্তায় নেমে এসেছে। ওই এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি বড় গাছ উপড়ে পড়াসহ বাড়ি-ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা জজ আদালতের সাইনবোর্ড ভেঙে পড়েছে। কোর্টমোড় ট্রাফিকেও একটি শতবর্ষী তালগাছ ভেঙে রাস্তার ওপর পড়েছে। এ ছাড়াও একাডেমি মোড়ে মোজাম্মেল হক তেল পাম্পের সামনে একটি বিশালাকার বিলবোর্ড ভেঙে পড়েছে। ফলে রাতে শহরের সড়কগুলোতে যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারের কারণে রাত থেকে এ খবর লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল গোটা শহর।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে এই ঝড়টি সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। ঝড়টি ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। তবে মূল ঝড়টির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র পাঁচ মিনিট। যার তীব্রতায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। তারসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাত ১২টা পর্যন্ত রেইনঠাণ্ডারের পরিমাপ অনুযায়ী বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩১ মিলিমিটার পর্যন্ত।

এ প্রসঙ্গে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাণহানির কোন ঘটনার খবর পাইনি। তারপরও থানাধীন প্রত্যন্ত অঞ্চলে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। রাত থেকেই বাড়তি নিরাপত্তাসহ জনগণের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা।’