নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে নতুন কোনো ফলাফল আসেনি। সোমবার (২০ এপ্রিল) করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল পূর্বের পাঠানো নমুনার আর কোনো ফলাফল পায়নি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলায় প্রথম ধাপে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৩ জন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২ জনসহ মোট ৫ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এ পাঠানো হয়। যাঁদের মধ্যে গত ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের আইসোসলেশনে ভর্তি থাকা সাব্বির আহম্মেদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ এপ্রিল ৮ জনের , ৫ এপ্রিল ২ জনের, ৬ এপ্রিল ৪ জনের, ৭ এপ্রিল ১০ জনের, ৮ এপ্রিল ৬ জনের এবং ৯ এপ্রিল ৬ জনের, ১০ এপ্রিল ০ জনের, ১১ এপ্রিল ১৬ জনের, ১২ এপ্রিল ১২ জনের, ১৩ এপ্রিল ২২ জনের, ১৫ এপ্রিল ৬ জনের, ১৬ এপ্রিল ৫ , ১৮ এপ্রিল ১ জনের, ১৯ এপ্রিল ২ জনেরসহ মোট মোট ১০৫ জনের শরীর থেকে করোনাভাইরাস সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরমধ্যে ১৪ এপ্রিল আরও ১২ জনের নমুনার ফলাফলসহ মোট নমুনার মধ্যে ৩৫ জনের ফলাফল এসে পৌঁছেছে। এদিকে কেবলমাত্র ১৯ মার্চ সাব্বিরের করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফলাফল পজেটিভ আসে। যিনি গত ৩১ মার্চ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তা ছাড়া বাকি ৩৪ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ ছিল। চুয়াডাঙ্গায় ১৬ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা সন্দেহে মোট ১০৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা (আইইডিসিআর)-এ নমুনা পাঠানো হয়েছে ২৯ জনের এবং ৮ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে, ১৯ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে করোনা সন্দেহে এক জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস। একই দিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করায় মশেনা খাতুন (৩২) নামের এক নারীর মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২০ এপ্রিল সোমবার এ নমুনা পরীক্ষার জন্য যশোর পাঠানো হয়। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস জানায়, ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন মশেনা খাতুন নামের এক নারী। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২০ এপ্রিল সকালে সিভিল সার্জন অফিস থেকে এ নমুনা পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবির) জিনোম সেন্টার গবেষণাগারে পাঠানো হয়। ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১ জনের, দামুড়হুদা উপজেলার ১ জনের, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১২ জনেরসহ মোট ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৭৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সেখানে পাঠানো হয়। তবে খুলনা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ফলাফল পেতে সময় বেশি লাগছে। ২০ এপ্রিল থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার গবেষণাগারটি করোনা পরীক্ষার জন্য মানসম্পন্ন, করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও দক্ষ লোকবল তাদের রয়েছে। আমরা আশা করছি, যশোরে পাঠানো নমুনায় কারো করোনা শনাক্ত হলে শনাক্তের ফলাফল এক দিনের মধ্যেই জানতে পারব।