মুরাদ হোসেন :চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় এনজিও’র ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ জলিবিলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিউলী আক্তার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসবাগুন্দা গ্রামের আয়ুব আলীর মেয়ে এবং প্রবাসী ইসরাফিল হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া প্রবাসী ইসরাফিল হোসেনের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩৫) সরোজগঞ্জ বাজারের আবু সালেহ’র বাড়ির নিচতলায় একমাত্র সন্তান নবম শ্রেণীর ছাত্র লাভলু রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ভাড়ায় থাকতেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৪টায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পার্শ্ববর্তী যাদবপুর গ্রামের মন্টু নামের এক ডিম বিক্রেতা তাকে প্রথমে নামায়। পরে শিউলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে বেলা সাড়ে ৫টার দিকে কর্তব্যরত ডা. সেলিমা আক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় শিউলী আক্তারের সঙ্গে আসা লোকজন লাশ ফেলে রেখে সটকে পড়ে। এ ব্যাপারে নিহত শিউলী আক্তারের ছেলে লাভলু ও তার নিকটাত্মীয় অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক জানান, ‘শিউলী আক্তার ব্র্যাকসহ কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। কিছুদিন ধরেই ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে তিনি মানসিক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। দুপুরে এক এনজিওকর্মী কিস্তির টাকা নিতে আসেন। এসময় ওই এনজিওকর্মী কিস্তির জন্য চাপাচাপি করতে থাকেন। পরে বেলা সাড়ে ৪টার দিকে শিউলী আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয় সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, আত্মহত্যার বিষয়টি আমার জানা নেই।