ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন : মামলা
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটিতে বসতবাড়ি নির্মাণকে কেন্দ্র করে নিহত শেরেগুলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল রাতে নিহতের স্ত্রী মাফুজা খাতুন বাদি হয়ে ৯ জনসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, গতকাল জুম্মার নামাযের পর জানাযা শেষে শহরের সিএন্ডবিপাড়া গোরস্থানে দাফনকার্য্য সম্পন্ন করা হয়। নিহত শেরেগুল আলী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিএন্ডবিপাড়ার মৃত বতকতের ছেলে। তবে এঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের উচুপাড়ায় শেরেগুল হোসেনের পৈতৃক জমির পাশে সপ্তাহ খানেক আগে থেকে বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করে তারই আপন ফুফাতো ভাই আবু তালেব। শেরেগুলের পৈতৃক জমি পিছনে থাকায় কিছুটা সমস্যা হলে তার জমিটা ফুফাতো ভাই আবু তালেবের নিকট বিক্রয়ের জন্য বলে। শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনার জন্য রাজি হয় আবু তালেব। অপরদিকে শেরেগুল জমির টাকা পরিশোধ না করে বাড়ির কাজ করতে নিষেধ করে। এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে গতকাল সকালে পরিকল্পনা অনুযায়ী শেরেগুলকে হাজরাহাটি আসার জন্য বলে আবু তালেব। সকালে শেরেগুলসহ পরিবারের কয়েকজন হাজরাহাটিতে গেলে তারা দেখেন নিষেধ করা সত্বেও বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছে। পরে আবু তালেবকে নিষেধ করলে উভয়পক্ষ মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নির্মাণ প্রাচীর ভেঙে দেয় শেরেগুলের লোকজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পনা ছিল অনুযায়ী কোদাল দিয়ে শেরেগুলের মাথায় কোপ দেয় আবু তালেবের ছেলে আরিফ। এতে গুরুতর জখম হয় শেরেগুল। তাৎক্ষানিক তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী রেফার্ড করেন। রাজশাহী মেডিকেলে নেয়ার পথে শেরেগুলের মৃত্যু হয়।