নিউজ ডেস্ক:
শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে মার্কেট ও বিপণিবিতান খোলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও গত দুই দিন চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ জায়গায় মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একাধিকবার সচেতনতামূলক মহড়া চালানো হলে তাতেও তোয়াক্কা করছিল না ক্রেতারা। গতকাল মঙ্গলবার ছিল তৃতীয় দিন। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এবার তৎপরতা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেটের সামনে সকাল থেকে নিয়মিত অবস্থান করতে দেখা গেছে পুলিশের কয়েকটি দলসহ সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যদের। কোথাও জমায়েত হতে দেখলেই দ্রুত সেখানে গিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে সতর্ক করছেন তাঁরা। তবে এসবের তোয়াক্কা না করেই মার্কেট-বিপণিবিতান ও ফুটপাতে অন্য দিনের মতোই ভিড়ে ঠাসাঠাসি।
অনেকের মুখে মাস্কও নেই। কেন পরেননি জিজ্ঞাসা করায় বলেন, ‘কয়েক মিনিটের জন্য বেরিয়েছি। এর মধ্যে কী-ই বা হবে?’ কেউ বলছেন, ‘মাস্ক পরলে দম বন্ধ হয়ে যায়।
অসুবিধা লাগে।’ অথচ প্রশাসনের তরফ থেকে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নির্দেশনা না মানায় জরিমানাও গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বয়স্ক, মুরব্বি ও শিশুদের মার্কেটে না নিয়ে আসতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার নিরুৎসাহিত করা হলেও সে বিধি নিষেধও মানছেন না অনেকে।
এ কারণে ক্রমেই কঠোর হতে শুরু করেছে প্রশাসন। তারপরেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে এত অনীহা! নিয়ম না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে গতকালও জরিমানা করা হয়েছে বেশকিছু বিপণিবিতানকে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৯ জনের কাছ থেকে ১৬ হাজার ১ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
দিনব্যাপী ৬টি মোবাইল কোর্টে ১৯ জনের কাছ থেকে ১৬ হাজার ১ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬ জনকে ১৪ হাজার ৫ শ টাকা, জীবননগর উপজেলায় ৩ জনকে ১ হাজার ৬ শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।