নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দ্বীননাথপুর মাদ্রাসা পাড়ায় আখ ভাঙাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিলে সন্ধ্যার পর হাসপাতালেও সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। এ সময় হাসপাতাল থেকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়া ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে দ্বীননাথপুর বিশ্বাসপাড়ার একটি আখখেত থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। আহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ (২৭), লিটন (২২) ও আল আমিন (১৮)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে মামলা হলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান।
জানা গেছে, দ্বীননাথপুর গ্রামের সাফিউল্লার ছেলে টাইলস মিস্ত্রি রায়হান (২২) নামের এক যুবক শনিবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে একই এলাকার মুনছুর আলীর ছেলে মুলুকচাঁদের আখের খেত থেকে একটি আখ ভাঙেন। এ ঘটনায় বিশ্বাস পাড়ার ফকির চাঁদের ছেলে লাল্টু প্রতিবাদ করলে রায়হানসহ কয়েকজন লাল্টুকে আখ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনা লাল্টু তাঁর লোকজনকে জানালে দেশীয় ধারালো রামদা ও লাঠিশোটা নিয়ে শুরু হয় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে মাজু মিয়ার তিন ছেলে মাসুদ, লিটন ও আল আমিন প্রতিপক্ষের আঘাতে মারাত্মক জখম হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে সন্ধ্যার পর হাসপাতালেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এ সময় হাসপাতাল থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে আটক হওয়া ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না বলে তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, দ্বীননাথপুরে আখ ভাঙাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আপন তিনভাই আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কেউ মামলা করেনি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।