নিউজ ডেস্ক:পুড়ছে কাঠ, পুড়ছে মাটি, জ্বলছে পরিবেশ। দিনের পর দিন আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলি জমিতে গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা। সেই ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন বাগানের কাঠ ও আবাদী জমির মাটি। যত্রতত্রভাবে মাটি ও কাঠ পোড়ানোর ফলে পরিবেশের বিপর্যয় হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই হতাশ আলমডাঙ্গা উপজেলার সাধারণ জনগণ। এদিকে, পরিবেশ ও বন অধিদপ্তর অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন অভিযান পরিচালনা বন্ধ রেখেছে এ উপজেলার ইটভাটাগুলোতে। যারফলে ইটভাটার মালিকেরা বেপরোয়া হয়ে ফসলী জমির উর্বর মাটি ও বাগানের কাঠ পোড়াতে দ্বিধাবোধ করছেন না।পুড়ছে কাঠ, পুড়ছে মাটি, জ্বলছে পরিবেশ। দিনের পর দিন আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলি জমিতে গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা। সেই ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন বাগানের কাঠ ও আবাদী জমির মাটি। যত্রতত্রভাবে মাটি ও কাঠ পোড়ানোর ফলে পরিবেশের বিপর্যয় হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই হতাশ আলমডাঙ্গা উপজেলার সাধারণ জনগণ। এদিকে, পরিবেশ ও বন অধিদপ্তর অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন অভিযান পরিচালনা বন্ধ রেখেছে এ উপজেলার ইটভাটাগুলোতে। যারফলে ইটভাটার মালিকেরা বেপরোয়া হয়ে ফসলী জমির উর্বর মাটি ও বাগানের কাঠ পোড়াতে দ্বিধাবোধ করছেন না। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নে মজিদ মিয়ার এএমবি, জামজামির মাঠ প্রাঙ্গণে যমুনা ব্রিকস ও পৌর এলাকার বন্ডবিলের বাবু মুন্সির এমএসবি ভাটায় হরহামেশায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। তা ছাড়া এই ইটভাটাগুলোতে অত্যাধুনিক পরিবেশসম্মত কয়লা ও চিমনি ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে ইটভাটায় পোড়ানো কাঠের ধোঁয়ায় ইটভাটা-সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে বায়ুদূষণ। সরেজমিনে দেখা গেছে, আলমডাঙ্গায় অবস্থিত তিনটি ইটভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় বছরের পর বছর অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ইটভাটার জন্য গ্রামাঞ্চল থেকে হাজার হাজার বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ সম্পদ কেটে ট্রাকে ও লাটাহাম্বা গাড়িতে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে কাঠ। ফলে উজাড় হচ্ছে বনজসম্পদ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ইটভাটার ধোঁয়ায় গ্রামাঞ্চলের ঘনবসতি, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফসলী জমি, সবজি খেতসহ মানবদেহ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এদিকে, পরিবেশ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটার মালিকরা তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নির্দেশনা রয়েছে, ‘পরিবেশবান্ধব ইটভাটা তৈরি করতে হবে।’ সরকারের এ নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটা পরিবেশবান্ধব গড়ে উঠেছে। কিন্তু উপজেলার এ তিনটি ইটভাটা যেন ক্ষমতার মাধ্যমে বছরের পর বছর অবৈধভাবে গাছের কাঠ পুড়িয়ে ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইটভাটার মালিক দাবি করেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন বেশি মূল্য দিয়ে কয়লা দিয়ে ইট পুড়িয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি। তবে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা জরিমানা করলেও থেমে নেই তাঁদের ব্যবসা। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলী বলেন, ‘ভাটায় গাছ পোড়ানো কোনো আইনে উল্লেখ করা নেই। যদি কেউ অবৈধভাবে গাছ পুড়িয়ে ভাটায় ইট তৈরি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।