নিউজ ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাজার মনিটরিং ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার সভাপতিত্ব করেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে ১৪ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ১৪ দফা নির্দেশনায় বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে আগামীকাল রোববার (আজ) হতে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখা যাবে। ১. ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। ২. শপিংমল ও দোকান-পাটসমূহ সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। ৩. সব শপিংমল ও মার্কেটের প্রবেশমুখে আবশ্যিকভাবে জীবাণুনাশক টানেল আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। ৪. করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দোকানের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাত না ধুয়ে কেউ দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। ৫. মাস্ক পরিধান ব্যতীত কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। যারা মাস্ক না পড়ে আসবে, তাদেরকে মার্কেট থেকে কিনে নিতে হবে। সব বিক্রেতা/দোকান কর্মচারীকে মাস্ক/হ্যান্ড গ্লাাভস পরিধান করতে হবে। ৬. নিরাপদ দূরত্ব অর্থাৎ ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে প্রতিটি দোকানে মার্কিং করতে হবে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বেচা-কেনা করতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যতজন ক্রেতাকে সেবা দেওয়া সম্ভব, তার বেশি ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। ৭. যেসব শপিংমলে প্রবেশ ও বাহিরের জন্য পৃথক পথ ব্যবহার করার সুযোগ আছে, সেসব শপিংমলে প্রবেশ ও বাহির হবার জন্য পৃথক পথ ব্যবহার করা হবে। কেনা-কাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভিড় সৃষ্টি যেন না হয়, সে জন্য মার্কেট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ৮. শপিংমলগুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ৯. এক এলাকার জনগণ যেন অন্য এলাকায় বা দুই কিলোমিটার দূরত্বের বাইরে শপিং করতে না যায়, সে কারণে প্রত্যেক ক্রেতাকে যথাযথ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
১০. স্বাস্থ্যবিধিবিষয়ক ব্যানার যেমন ‘স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে’ সম্বলিত ব্যানার ব্যবসায়ীগণ নিজ উদ্যোগে স্থাপন করবে। এছাড়াও ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক তথ্যাদি মাইকের মাধ্যমে অনবরত প্রচার করতে হবে। ১১. দীর্ঘদিন যাবৎ সব কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় স্বল্প মূল্যে যেন ক্রেতাগণ পণ্য কিনতে পারেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ন্যূনতম লাভে পণ্য বিক্রয় করতে হবে এবং সব পণ্য ক্রয়ের মেমো সংরক্ষণ করতে হবে। ১২. সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব উপজেলায় একইভাবে সীমিত পরিসরে দোকান-পাট চালু রাখা যাবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ইউএনওগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ১৩. সীমিত পরিসরে দোকান-পাট চালু হলেও এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং পূর্বের ন্যায় সব ইজিবাইক, অটো এবং অন্যান্য অবৈধ যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। ১৪. জরুরি সেবা ও কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য পণ্য, কাঁচা বাজার ও ওষুধের দোকানের ক্ষেত্রে পূর্বে জারীকৃত সকল নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
সভায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমন, সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।