নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রায় ৭৮৩ একর জমিতে জিটুজি ভিত্তিতে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল স্থাপনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে শেয়ারহোল্ডার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বেজার পক্ষে নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এবং চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন চোয়ান সোং শেয়ারহোল্ডার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, বেজার নির্বাহী সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ড. মো. এমদাদুল হক, বেজার নির্বাহী বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আইয়ুব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও শিল্প বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য বিদেশি বিনিয়োগের লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ৬ থেকে ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় প্রায় ৭৮৩ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেজা, চীনা দূতাবাস ও চায়না হারবারের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সভা হয়।
গত ২০১৬ সালের ১৬ জুন বেজা ও চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় এবং চীনের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরকালে গত ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বেজা এবং চায়না হারবার কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি অ্যাগ্রিড টার্মস স্বাক্ষর হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনে বেজা ও চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বেজার এ শেয়ারহোল্ডার চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশে কোরিয়ান ইপিজেড ও কাফকো অবস্থিত। কর্ণফুলি টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে এর দূরত্ব হবে মাত্র তিন কিলোমিটার। চীন সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে ডেভেলপার হিসেবে নিয়োগ দেয়।
সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, উক্ত জোনে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে তা হলো- কেমিক্যাল, ফার্মাসিউটিক্যাল, গার্মেন্টস, টেলিযোগাযোগ, কৃষিনির্ভর শিল্পকারখানা, রাসায়নিক দ্রব্য, ডিজিটাল যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক পণ্য, আইটি ও আইটি সম্পর্কিত সেবা ইত্যাদি। এখানে আনুমানিক দুই লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।