নিউজ ডেস্ক:
ভারত মহাসাগরে চীন যখন নিজেদের শক্তি ও তৎপরতা বাড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় নিজেদের নৌসেনা ঘাঁটি আরও বিস্তৃত করতে উদ্যোগী হল ভারতও। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারতের নৌসেনা ঘাঁটি NAS Shibpur-এর আয়তন আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কূটনৈতিকভাবে এই ঘাঁটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শিপিং রুট মালাক্কা স্ট্রেইটের কাছেই অবস্থিত এই নাভাল বেস। গত কয়েক বছর ধরে এই সেনাঘাঁটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারত। ২০১২ তে নাভাল এয়ার স্টেশন ‘বাজ’ তৈরি করে ভারত। এটিই দক্ষিণ প্রান্তের নাভাল স্টেশন। শিবপুর প্রজেক্টে রানওয়ে বাড়ানোর জন্য ১০০ হেক্টর অতিরিক্ত জায়গায় বিস্তৃত হচ্ছে। উত্তর আন্দামানের দ্বীপে অবস্থিত এই NAS Shibpur. নেভি, এয়ার ফোর্স ও কোস্ট গার্ডের অপারেশনের জন্য এই ঘাঁটি ব্যবহার করা সম্ভব। এখানে রয়েছে MI 8 ও Chetak aircraft.
বর্তমানে ১হাজার মিটারের রানওয়ে রয়েছে সেখানে। যেখানে মাত্র একটি এয়ারক্রাফট ল্যান্ড করতে পারে। এবার ৩ হাজার মিটারের রানওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র সামরিকভাবেই শক্তি বাড়বে তাই নয়, আন্দামানের উন্নয়নে ও দুর্যোগ মোকাবিলা করতেও এই প্রজেক্ট কাজে লাগবে।
গত বছরেই মিসাইল করভেট গোত্রের বড়সড় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কার্মুক-কে আন্দামানে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম এই যুদ্ধজাহাজ স্থায়ী ভাবেই রয়েছে আন্দামানে।
মূল ভূখণ্ড থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে টহল দেয় এটি। ২০১৬-র গোড়ায় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে চীনের একটি ম্যাপের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দেখানো হয়। তার পর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে চীনা যুদ্ধজাহাজ লুকিয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের খুব কাছে পৌঁছে যায়। রাডারে তার উপস্থিতি টের পেয়েই সতর্ক হয়ে যায় ভারতীয় নৌসেনা। চার দিকে থেকে নজরদারি জাহাজ ঘিরে ফেলে চীনা যুদ্ধজাহাজটিকে। পরে চিনা যুদ্ধজাহাজটি আন্দামান সাগর ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু নৌসেনা কর্তাদের সন্দেহ, চীনা সাবমেরিন মাঝেমধ্যেই লুকিয়ে হানা দিচ্ছে আন্দামান সাগরে।
সূত্র: কলকাতা টোয়েন্টিফোর