নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত চার নারী ধর্ষণের ঘটনায় মামলার নথিতে ত্রুটি, মামলা নিতে বিলম্ব এবং ধর্ষকদের গ্রেফতারে গড়িমসি করাসহ নানা অভিযোগে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুল মোস্তফাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে কর্ণফুলী থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি এবং আসামি গ্রেফতারে অবহেলার অভিযোগ আসার প্রেক্ষাপটে তদন্তের দায়িত্বভার পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে দেওয়া হয়।এরপরই মিজান মাতব্বর (৪৫) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ। এই পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজন মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী। তিন ভাইয়ের স্ত্রী তাদের শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। ধর্ষিতা গৃহবধূদের একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়। ওই ঘটনায় এর আগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন মো. সুজন ওরফে আবু, মাহমুদ ফারুকী ও বাপ্পী।
বিডিপ্রতিদিন