ভারতের কলকাতায় গাড়িচাপায় নিহত দুজনের লাশ দেশে পৌঁছেছে
নিউজ ডেস্ক:ভারতের কলকাতায় গাড়িচাপায় নিহত গ্রামীণফোনের রিটেইল সাপোর্ট ম্যানেজার কাজী মুহাম্মদ মইনুল আলম সোহাগের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার জোহরের নামাজের পর ঝিনাইদহ শহরের ভুটিয়ারগাতি রসুলপুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। এ সময় ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, নিহত সোহাগের স্ত্রী, একমাত্র শিশুপুত্র ও ঝিনাইদহের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল সকাল আটটার দিকে যশোর বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ। সোহাগের লাশ তাঁর চাচাতো ভাই শাফী রহমতুল্লাহ জিহাদ বুঝে নেন। ওই দুর্ঘটনায় কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া নিহত হন। তাঁর লাশ গ্রহণ করেন চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মাসুম বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাঁরা ১৪ আগস্ট কলকাতায় যান। ১৬ আগস্ট চিকিৎসা শেষে ফারজানা, সোহাগ, চাচাতো ভাই শাফী রহমতুল্লাহ জিহাদ তিনজন কলকাতার সেক্সপিয়ার স্মরণিতে ট্রাফিক পুলিশ পোস্টে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গত শুক্রবার মধ্যরাতে একটি জাগুয়ার তীব্র গতিতে শেক্সপিয়ার স্মরণি ধরে বিড়লা কলামন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। লাউডন স্ট্রিটের কাছে সেটি একটি মার্সিডিজকে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ট্রাফিক পুলিশের পোস্টে ঢুকে পড়ে। সোহাগ ও তাঁর চাচাত ভাই মো. শাফী রহমুল্লাহ জিহাদ এবং তানিয়া বৃষ্টির মধ্যে ওই পুলিশ পোস্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সঙ্গে থাকা শফী বলেন, ওই পুলিশ পোস্টে দাঁড়িয়ে তাঁরা ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি গাড়ি উল্টে এসে তাঁদের ওপর পড়ে। ওই ঘটনায় কলকাতার নামী রেস্তোরাঁ আরসালানের মালিকের ছেলে পারভেজ আরসালানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।