রিপোর্ট : ইমাম বিমান: গাইবান্ধা জেলার আলোচিত শাওতালপলী থেকে উচ্ছেদ হওয়া নিপিড়িত আদীবাসী শাওতালদের ” পূর্নবাসনের নামে প্রতারনা ” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের জের ধরে জাতীয় “দৈনিক সমকাল” পত্রিকার গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধির উপর হামলা। গতকাল ২১মে সোমবার গোবিন্দগঞ্জ তালুক কানুপুর ইউনিয়নে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়মের সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক এনামুল সেখানকার দূর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। চাল বিতরনের সময় ঘটনা স্থল থেকে সাংবাদিক এনামুল সংবাদ সংগ্রহ করতে শুরু করলে ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক তার লোক দিয়ে এনামুল হককে ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে দুইঘন্টা আটকে রেখে বেধরক মারধর করে রক্তাক্ত যখম করে। মারধরের এক পর্যায় এনামুলের একটি কান থেকে রক্ত বের হয।
এ বিষয় সাংবাদিক এনামুল হক মুঠোফোনে তার সহকর্মিদের জানান, তালুক কানুপুর ইউনিয়নে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়মের সংবাদ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে শুরু করলে ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক তার লোক দিয়ে এনামুলকে ডেকে নিয়ে একটি কক্ষে দুইঘন্টা আটকে রেখে বেধরক মারধর করে রক্তাক্ত যখম করে। মারধরের এক পর্যায় এনামুলের বাম কান থেকে রক্ত বের হয। ঘটনাটি গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ছড়িয়ে পরলে স্থানীয় সাংবাদিক মহল থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। সাংবাদিক এনামুলকে আটকে রেখে নির্যাতন করার সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বভিন্ন সংবাদিক সংস্থার বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা জানান হয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ঘটনার সাথে জড়িত চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছে বিএমএসএফ।
এনামুলের অপরাধ তিনি ‘সাঁওতাল পল্লীতে আগুন- পুনর্বাসনের নামে প্রতারণা’ শীর্ষক খবরটি দৈনিক সমকালে প্রকাশ করেছেন, যা ২১ মে সমকালে প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য এনামুল সাঁওতাল পল্লীতে আগুনের পর থেকেই আছেন নিপীড়িত সাঁওতালদের সঙ্গে। এনামুল গিয়েছিলেন ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়মের খবর সংগ্রহ করতে। মূলত সোমবার সমকালে প্রকাশিত সাঁওতাল পল্লী থেকে উচ্ছেদ হওয়া আদিবাসীদের নিয়ে ‘পুনর্বাসনের নামে প্রতারণা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান এ মারপিট করেছেন। গোবিন্দগঞ্জের সাংসদ থেকে শুরু করে তৃণমূলের সব জনপ্রতিনিধিই সাঁওতাল পল্লীতে আগুনের ঘটনায় ‘সব রসুনের গোড়া এক জায়গায়’। তাছাড়া এনামুল বিভিন্ন সময় এই চেয়ারম্যানের অনেক অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) অনিয়ম, টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটা, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া ইত্যাদি। মারপিট করার সময় চেয়ারম্যান এসব কথাও উলে্যখ করেন।