রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় দাবি-দাওয়া নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করে আনসার সদস্যরা। পরে তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বিকেল থেকে বিশৃঙ্খা সৃষ্টি করেন তারা। সচিবালয়ে উপদেষ্টাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটকে রাখেন। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন তারা।
এমন ঘটনার পর আনসার সদস্যদের নিয়ে ফুঁসে ওঠে অনেক ছাত্র-জনতা। আর বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, শুধুমাত্র গোপালগঞ্জ জেলা থেকেই ২৯ হাজার আনসার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই তারা দেশের ক্রান্তিকালে এমন অস্থিরতা চালাচ্ছে।
তবে গোপালগঞ্জ থেকে এতো আনসার সদস্য নিয়োগের বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই দাবি করেন আবদুল মোতালেব।
আনসারের মহাপরিচালক বলেন, গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ২৯ হাজার আনসার সদস্য নিয়োগের তথ্য সঠিক নয়। প্রতিটি জেলার আলাদা আলাদা সংখ্যা নির্ধারিত থাকে। তাই বেশি নিয়োগের সুযোগ নেই। গোপালগঞ্জ জেলা থেকে নিয়োগ পাওয়া আনসারদের সংখ্যা এক হাজার ৩০০।
তিনি আরও বলেন, দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরেও রহস্যজনক কারণে তারা সচিবালয় ও বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খা সৃষ্টি করে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেক বহিরাগতদের প্রবেশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে, গত রোববার চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে প্রায় ১০ হাজার আনসার সদস্য সচিবালয় ঘেরাও করেন। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সাতজন উপদেষ্টাসহ সচিবালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আটকা পড়েন। ওই সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসারদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে ৪০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে এ ঘটনায় আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়।