নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার নাম করে ঢাকা থেকে ডেকে এনে গৃহবধুকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রাঙ্গার বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার বিকালে জীবননগর উপজেলার দত্তনগর রোডস্থ পদ্মাগাঙ্গের বিলে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ অক্টোবর রাজশাহী জেলার মতিহার থানার নওদাপাড়া গ্রামের শফিকুল আলীর মেয়ে সুফিয়া আক্তার জয়ার (২২) সাথে জীবননগর পৌর শহরের মহানগর দক্ষিণপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে কামরুল হাসান রাঙ্গার (৩০) ঢাকা সাভারে প্রেমের সম্পর্কেই বিয়ে হয়। বিয়ের পর দু’মাস ঠিকঠাক গেলেও গত একমাস জয়ার কোন খোজ নিতো না রাঙ্গা। এর মধ্যে গত শনিবার জয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাঙ্গা ফোন করে এবং জীবননগরে আসতে বলে। স্বামীর কথা বিশ্বাস করে গতকাল জীবননগরে চলে আসেন জয়া। এসময় স্বামী রাঙ্গা জয়াকে কৌশলে ডেকে নিয়ে একটি বিলের ধারে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় জয়া চিৎকার করলে তারা কৌশলে তাকে পৌরসভার শাপলাকলিপাড়ায় একটি বাড়িতে আটকিয়ে করে রাখে। ওই বাড়ীতে জয়ার উপর চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন ও অত্যাচার। একপর্যায়ে জয়া সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে জীবননগর থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে বেরিয়ে আসে সব ঘটনা। নির্যাতন ও অত্যাচারের শিকার হওয়া গৃহবধূকে সব রকম আইনী সহায়তা ও অপরাধীদের তদন্ত পূর্বক শাস্তির দাবি করেছে সচেতন মহল।
আহত গৃহবধূ জয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘গত তিনমাস আগে রাঙ্গা তাকে ঢাকা সাভারে একটি কাজী অফিসে বিয়ে করে এবং বিয়ের আগে তাকে বলে, তার কোন স্ত্রী সন্তান নেই। সে আমাকে দুই মাস যাবৎ যাবতীয় খরচপত্র দিয়ে আসছিলো। কিন্তু হঠাৎ এক মাস যাবৎ কোন খরচপত্র না দেওয়ায় আমি তাকে ফোন দিলে রাঙ্গা গত শনিবার আমার ফোনে ৩ হাজার টাকা বিকাশ করে বলে, তুমি জীবননগর চলে আসো এখানে তোমাকে রাখবো এই বলে ডেকে এনে আমাকে গতকাল রবিবার হাসাদহ বাজার থেকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দত্তনগর রোডস্থ একটি বিলে নিয়ে যায়। সেখানে রাঙ্গা, আরিফসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে এবং আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। সেখানে ব্যর্থ হয়ে জীবননগর শাপলাকলিপাড়ায় একটি বাড়িতে রাখে সেখানেও মারধর করে। তারা আমার উপর জোরপূর্বক সাদা কাগজে সাক্ষর ও টিপ সহি নেয়। একপর্যায় সেখান থেকে পালিয়ে থানা পুলিশের নিকট চলে আসি।’
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মেয়েটি সন্ধ্যার সময় থানায় আসে। তার নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে থানায় রাখা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে ব্যবস্থা নিবো।