নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের শড়াবাড়িয়া গ্রাম থেকে গলাই ফাঁস দেওয়া এক গর্ভবতী গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহতর মা ও তার পিতা নবীছদ্দীন জানান, তার মেয়ে সোনিয়াকে বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর ভালোবাসত না। প্রায়ই মারধর করত শেষ পর্যন্ত তার মেয়েকে গলাই ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলে সবাই বাড়ি থেকে পালিয়েছে যা আপনারা দেখুন আর বিচার করুণ, এমনটাই দাবি সোনিয়ার পিতা- মাতার। এ ঘটনার পর থেকে নিহত সোনিয়ার স্বামী আখিরুল ও তার পিতা খয়বার পলাতক বলে জানান এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে তাদের ঘরে তালাবদ্ধ দেখা যায়। এ ব্যাপারে হরিণাকু-ু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘনাটায় থানা সেকেন্ড অফিসার এসআই সরোয়ার জানান, আমরা নিহতর মরদেহ উদ্ধার করি কিন্তু তার স্বামী পলাতক। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তর পর সব জানা যাবে।
অপরদিকে, একই উপজেলার দখলপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে প্রথম শ্রেণির মাদ্রসা ছাত্র রাফি নছিমন চাপায় নিহত হয়েছে। নিহত রাফি মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফিরলিছেন। এমন সময় দ্রুতগামী একটি নছিমন এসে রাফিকে ধাক্কা দিলে রাফি নছিমনের চাঁকার নিচে পড়ে। প্রথমে তাকে হরিণাকু-ু হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে হরিণাক-ুু থানার (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, আমি শুনেছি, তবে এখনো নিহতর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এ অবৈধ নছিমন, আলমসাধু যারা চালায় তারা কেউ দক্ষ না। আবার যেহেতু এ অবৈধ নছিমন উঠছে না তাহলে এদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রাস্তায় নামানো উচিৎ।