নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর গুলশানের বাড়ির ভাড়াটে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মামলা করেছেন। গতকাল বুধবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মওদুদ আহমদ নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, করিম ফারনাজ সোলাইমান, রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে।
এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সাংবাদিকদের জানান, মামলা গ্রহণ করে বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য বিবাদীদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১৯ জুলাই সমন ফেরতের জন্য দিন ধার্য কর হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালে মওদুদ আহমদের ভাই মনজুর আহমদ ভাড়াটে হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। পরে মনজুর আহমদের কাছ থেকে ক্ষমতা নেন মওদুদ আহমদ। তখন থেকেই বাড়িটি তার দখলে। বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার পর প্রায় দুই কোটি টাকার বেশি অর্থের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন যাতে বাড়িটি দখল করতে না পারে, এ জন্য ওই বাড়ির ভাড়াটে হিসেবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়, পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান তৎকালীন বিআইটি বর্তমান রাজউকে অ্যালটমেন্ট বা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। বিআইটি মো. এহসানের স্ত্রী জার্মান নাগরিক ইনজি স্লাজের নামে বাড়িটি বরাদ্দ দেন। ১৯৮১ সালে গুলশানের ওই বাড়ির মালিক ইনজি স্লাজ প্রয়াত প্রধান বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরীকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) করে দেন। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষমতা ১৯৮৪ পর্যন্ত বহাল ছিল। এ মামলায় এহসান-ইনজি দম্পতির ছেলে করিম ফারনাজ সোলাইমান, রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে, গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১৫৯ নম্বর প্লটের ওই বাড়িতে মওদুদ আহমদ বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু ওই বাড়ির দখল নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে দুদক মামলা করলে চার বছর আগে আইনি লড়াই শুরু হয়। ওই মামলায় মওদুদ সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গেলেও রায় তার বিপক্ষে যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেও গত রবিবার তা খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।