ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ গুরুতর অসুস্থ বিএনপি নেতা ও পল্লী চিকিৎসক আব্দুল বারী। তারপরও ডান্ডাবেড়ি খোলেনি পুলিশ। ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়। অমানবিক ঘটনাটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আগত রোগী এমনকি চিকিৎসকদের হতবাক করে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ ও কারাকর্তৃপক্ষ কোন মুখ খোলেনি। গত ২৭ অক্টোবর প্রকাশ্যে হলিধানী বাজার থেকে পুলিশ আটক করলেও বিষয়খালী স্কুল এন্ড কলেজ এলাকায় ঘটিত নাশকতা ও বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। তার নামে গত একযুগে কোন মামলা নেই থানায়। এলাকায় তিনি গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোকাররম হোসেন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর বা খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করেন। ডাঃ মোকাররম হোসেন জানান, আব্দুল বারী ব্রেইন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত একজন রোগী। এখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। আব্দুল বারীর বড় ছেলে নাট্যকর্মী শামীমের জানান, তার পিতা অসুস্থ। ব্রেইন ষ্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বিছানায়ই ছিলেন। মাত্রই স্মৃতি ফিরেছিল। এ জন্য বাসা থেকে গুটি গুটি পায়ে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাড়ান। কোন কথাও আব্দুল বারীর মনে থাকে না। কাপড়টাও অন্য লোকের পরিয়ে দিতে হয়। অথচ এই অসুস্থ মানুষটিতে হলিধানী বাজার থেকে গত ২৭ অক্টোবর দুপরে গ্রেফতার করে কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আবুল কালাম আজাদ। পুলিশের দাবী তিনি নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। অথচ প্রকাশেই হলিধানী বাজার থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীকে আটক করেন কাতলামারী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আবুল কালাম আজাদ। তিনিও স্বীকার করেন গ্রেফতারের সময় মনে হচ্ছিল তিনি অসুস্থ। কিন্তু আমার করার কিছু ছিল না। আব্দুল বারীর পারিবারিক সুত্রে বলা হয়েছে কারাগারে অমানবিক ভাবে বন্দি থাকায় আব্দুল বারীর জীবন নিয়ে তারা শংকিত। মিথ্যা মামলা দিয়ে একজন বয়স্ক অসুস্থ মানুষকে বোমা দিয়ে চালান দেওয়া তারা মেনে নিতে পারছেন না।