বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :
বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ ছাড়া পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সারি। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে গাইবান্ধায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১শ’ ৫৫ জনে। এত মৃত্যু আর আক্রান্তের ভিড়ে সুস্থ হওয়ার খবরও মিলছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ২৮ জন সুস্থ হয়ে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় সেরে উঠেছেন এক হাজার ১৯ জন। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন ১২২ জন। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সবশেষ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
গাইবান্ধা জেলার করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগ থেকে জেলার সাত উপজেলায় সেরে উঠেছে ১০১৯ জন। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরে ৩৫২ জন, গোবিন্দগঞ্জে ২৯৯ জন, সাদুল্লাপুরে ৮৫ জন, পলাশবড়ীতে ৮২ জন, সাঘাটায় ৭০ জন, সুন্দরগঞ্জে ৭৪ জন ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ ছাড়া সংখ্যাধিক্য অনুযায়ি শুক্রবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাইবান্ধা সদরে সবচেয়ে বেশি ৪১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৩১৬ জন)। এর পরের অবস্থানে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পাওয়া গেছে ৩১৯ জন (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ১৭৬ জন), পলাশবাড়ী উপজেলায় ১০৫ জন (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৬২ জন), সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৯৬ জন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭৯ জন (এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৩৪ জন), সাঘাটা উপজেলায় ৭৬ জন ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৬৭ জন।
গাইবান্ধায় বর্তমানে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ১২২ জনের মধ্যে ৫৮ জন গাইবান্ধা সদরে, পলাশবাড়ীতে ১৯ জন, গোবিন্দগঞ্জে ১৬ জন, ফুলছড়িতে ১০ জন, সাদুল্লাপুরে ৯ জন, সুন্দরগঞ্জে ৪ জন ও সাঘাটায় ৬ জন রয়েছেন।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১৪ জন করোনা আক্রান্তরোগী মারা গেছেন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৪ জন, সদরে ৩ জন, সাদুল্লাপুরে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ৪ জন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে স্থানীয়রা অনেকটাই অসচেতন। চলাচলে অসতর্কতা এবং সামাজিক দূরত্ব ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি কেউ সঠিকভাবে মেনে চলছেন না। সাধারণ মানুষ হাঁটবাজার, দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে অবাধে চলাচল করছেন। চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কমেছে প্রশাসনের নজরদারিও। এতে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম দেখা দেওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।