নিউজ ডেস্ক:গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পায়ে ব্যান্ডেজ ও ঔষধ লেখাতে রোগির কাছ থেকে নগদ এক হাজার টাকা দাবি করা সেই প্যারামেডিকেল চিকিৎসক (সেকমো) তানভির আহমেদের বিচার দাবিতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী মিলনের খালা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে মিলন ও মিলনের খালা লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। মিলন মানসিকভাবে খুব একটা ভালো না হওয়ায় তার অভিভাবক খালা সাহেদা এ অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গত রোববার গাংনী সরকারি হাসপাতালে উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন ঘুমের ঘরে বেড থেকে পড়ে পায়ে চোট পায়। রোববার সকালে হাসপাতালে ৫টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ১১৭নং কক্ষের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন মারফত গাংনী হুদা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করা হয়। এক্স-রের পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই ডাক্তারের নিকট গেলে পরীক্ষার কাগজপত্র দেখানো হলে তিনি বলেন, পায়ে ফাটল আছে প্যান্ডেজ করতে হবে, জরুরী বিভাগে যেতে বলে। সাহেদা খাতুন তখন জরুরী বিভাগে গেলে সেকমো চিকিৎসক তানভির আহম্মেদের কাছে কাগজপত্র দেখায়। এসময় চিকিৎসক তানভির এক পাশে ডেকে বলে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে গেলে ৫ হাজার টাকা খরচ হবে আর আমার এখানে ব্যান্ডেজ করলে মাত্র ১ হাজার খরচ হবে। পরে এক হাজার টাকা দিতে না পারায় মিলনের পায়ের ব্যান্ডেজ করেনি। এমনকি আলামিন নামের একজনকে ওই ব্যান্ডেজ করতে চাইলে তাকে ভয় দেখায় তানভির। পরে ঔষধ না লিখে বলে আপনাদের এখানে কোন সেবা হবে না। টাকা দিলে ব্যান্ডেজ হবে ঔষধ লেখা হবে আর না দিলে ব্যান্ডেজ হবে না ঔষধ লেখা হবে না। দিনভর বসে থেকে কোন উপায় না পেয়ে তারা চলে যায়।
সরকারি হাসপাতালে বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও কেন আমার নিকট টাকা চাওয়া হল টাকা দিতে না পারায় মিলনের কেন চিকিৎসা দেওয়া হল না এর সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী মিলনের খালা। আগামীতে যেন আমার মত অন্য গরিব মানুষরা এভাবে আর সেবা না পেয়ে ফেরত না যায়, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি হবে। সেই কমিটি তদন্ত করবে।