নিউজ ডেস্ক:
‘গণতন্ত্র সূচকে’ বাংলাদেশের ৪ ধাপ উন্নতি হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ৫.৫৭ স্কোর নিয়ে এই সূচকে বাংলাদেশ ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে ৮৮তম অবস্থানে। গত বছর ৫.৪৩ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯২তম অবস্থানে।
পাঁচটি মানদণ্ডে ২০১৮ সালের পরিস্থিতি বিচার করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বুধবার (৯ জানুয়ারি) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পাঁচটি মানদণ্ড হলো- নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার।ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, গণতন্ত্রের বিচারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে ভারত (৪১) ও শ্রীলঙ্কা (৭১)।
এবারের সূচকে যেখানে ৪২টি দেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে, সেখানে ৪৮টি দেশ নিজেদের রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে পেরেছে। উন্নতির ছাপ পড়েছে এশিয়ার দেশগুলোতেই বেশি।২০১৮ সালে কোনো না কোনো ধরনের গণতন্ত্র বিরাজ করছে এমন দেশে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ছিল বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৭.৭ শতাংশ।নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার- এই ৫ মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ ভিত্তিক এই সূচক তৈরি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সব সূচক মিলিয়ে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮-এর বেশি হলে সেই দেশে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। স্কোর ৬-৮ এর মধ্যে হলে সেখানে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ৪-৬ এর মধ্যে হলে ‘মিশ্র শাসন’ এবং ৪-এর নিচে হলে সে দেশে ‘স্বৈরশাসন’ চলছে বলে ধরতে হবে।ইউনিটের এবারের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৮ সালে তাদের ভাষায় ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ ছিল মাত্র ২০টি দেশে। ৯.৮৭ স্কোর নিয়ে গতবারের মতোই এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। শীর্ষ দশে আরো আছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড। যুক্তরাজ্য ও জার্মানি পূর্ণ গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় থাকলেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের স্থান হয়েছে গতবারের মতোই ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশের তালিকায়। এই ভাগের ৫৫ দেশের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কা। বিশে^র মোট জনসংখ্যার ৪৩.২ শতাংশের বসবাস এসব ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশে। বাংলাদেশকে এই প্রতিবেদনে রাখা হয়েছে মিশ্র শাসনের দেশের তালিকায়, যেখানে ভুটান, নেপাল, পাকিস্তানসহ ৩৯টি দেশ রয়েছে। এসব দেশে বিশে^র মোট জনসংখ্যার ১৬.৭ শতাশের বসবাস। ইউনিটের বিবেচনায় বিশে^র ৩৫.৬ শতাংশ মানুষ এখন স্বৈরশাসনে জীবন কাটাচ্ছে। তালিকার তলানিতে আছে উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া মিয়ানমার, চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান ও সৌদি আরবকেও একই কাতারে রাখা হয়েছে।