মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা ও পুরানা পল্টনের বিভিন্ন মানিচেঞ্জার হাউজে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।
একাধিক মানিচেঞ্জ হাউজে খোঁজ নিলে জানায়, এখন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কিন্তু ডলারের জোগান নেই। আর সেই কারণে ডলারের দাম বেড়েছে। প্রবাসী আয় না আসার কারণে এমনটা হচ্ছে সবাই বলছে।
প্রবাসীয় আয় সংগ্রহকারী একাধিক ব্যাংকের সূত্রগুলো বলছে, কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের কারণে চলতি মাসের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমে যায়।
এদিকে আন্দোলনের বিষয়টি বিভিন্ন বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীদেরদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় না পাঠানোর জন্য প্রচার শুরু করে। এর সাথে যোগ দেয় দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষের সামাজিক মাধ্যমে অ্যাক্টিভিস্টরা। যারা ফলে আগামীতে প্রবাসী আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে বর্জনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এ কারণে দেশে খোলাবাজারে ডলারের সরবরাহ কমে গেছে। যার প্রভাবে পড়ে দামে।
চলতি মাসের শুরুতে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন উত্তপ্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত ডলারের দামে ১২০ টাকা মধ্যে ঘুরপাক খায়। তখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার দাম ছিল ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা। কোটাবিরোধী আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ের পৌঁছানোর পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে ১২১ এর মধ্যে ছিল। কিন্তু আজ ডলারের সেই দাম উঠে ১২৪ টাকায়।