নিউজ ডেস্ক:
সারা দেশে ২ হাজার ৫৩২টি খাল ও পুকুর পুনঃখননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এসব খাল-পুকুর খননের মাধ্যমে ভূউপরস্থ পানি সংরক্ষণ ও বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে। এজন্য ‘সারা দেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন প্রকল্প’ অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজকের সভায় মোট ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রকল্পটি সম্পর্কে এম এ মান্নান জানান, পুকুর, দিঘি ও খাল খনন করে স্থানীয় যুবসমাজকে বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সারা দেশের পুকুর, দিঘি ও খালের জেলাওয়ারি তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের জরিপের মাধ্যমে সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৯১০টি খাস পুকুর, দিঘি, ৩ হাজার ৪৯৩টি প্রাতিষ্ঠানিক এবং ৬ হাজার ৫৩৬টি খাস খালের তথ্য পাওয়া যায়। তার মধ্যে দেশের ৫৬টি জেলায় ৯২১টি খাস খাল পুনঃখনন ও ১ হাজার ৬১১টি প্রাতিষ্ঠানিক পুকুর, দিঘি পুনঃখননের জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে ৯২১টি খাস খাল পুনঃখনন, ১ হাজার ৬১১টি প্রাতিষ্ঠানিক পুকুর দিঘি পুনঃখনন, ৯৩৮টি ঘাট নির্মাণ, মেরামত এবং খাল, পুকুর পাড়ে বৃক্ষরোপণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এসব খাল-পুকুর খননের মাধ্যমে ভূউপরস্থ পানি সংরক্ষণ ও বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হবে। প্রকল্পটি জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২৩ মেয়াদকালে বাস্তবায়ন হবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প-৩য় পর্যায় (প্রথম সংশোধিত)। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। ৬৪ জেলায় সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা। ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের বেগমগঞ্জ থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬২ কোটি টাকা।
নলকা-সিরাজগঞ্জ-সায়দাবাদ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ অংশ ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ২৬৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী বর্ডার রোড নির্মাণ প্রকল্পে (প্রথম সংশোধিত) ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৪ কোটি টাকা।
কুষ্টিয়া শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০৬ কোটি টাকা।
রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮২ কোটি টাকা। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১১৪ কোটি টাকা।