বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে ‘আপাতত দলের কাজে মনোযোগ’ দিতে বলেছেন এমন খবর বেশ আলোচিত হচ্ছে। তবে এটাকে ‘অসত্য’ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা। তবে তারা এও বলছেন, এখন যদি মওদুদ আহমেদ নিজেকে গুটিয়ে নেন তাহলে বোঝা যাবে এর সত্যতা আছে।
গত ২৫ মার্চ বিকেলে বিএনপির ছয়জন আইনজীবী কারাগারে খালেদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই দলে ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, জয়নুল আবেদীন, রেজ্জাক খান, এ জে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এসময় জামিন প্রশ্নে অসন্তোষ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া তার মামলা থেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বিরত থাকতে বলেছেন এমন খবরও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বেগম জিয়া এমন নির্দেশনা কেন দিলেন তা জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, এত বড় কথা উনি (বেগম জিয়া) না বললে তো আসা সম্ভব নয়। সেই সাক্ষাতে আমাদের তিনি (খালেদা জিয়া) বলেন যে ‘হাইকোর্ট জামিন দিলেন। তার পরও কী কারণে আপিল বিভাগ স্থগিত করলেন?’
খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা ছয়জন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে দেখতে না পেয়ে ম্যাডাম জানতে চান যে কেন উনি এলেন না। আমরা ম্যাডামকে বলেছি যে তার অন্য একটি প্রোগ্রাম রয়েছে।
ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, খালেদা জিয়ার মামলায় সামগ্রিকভাবে যারা আছি তারাই এ মামলা পরিচালনা করব। এর বাইরের কোনো নিউজ যদি আসে আপনারা বিশ্বাস করবেন না।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারর আইনজীবীদের মধ্যে এখন বিভেদ সৃষ্টির অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সেদিন যারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, তিনি (খালেদা জিয়া) মওদুদ আহমদ সম্পর্কে এমন কোনো কথা বলেননি।
সানা উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এই ধরনের কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি এবং এর প্রতিবাদ যাচ্ছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিষয়টি পত্রিকায় যেভাবে এসেছে বিষয়টি সেভাবে হয়নি বলে আমার বিশ্বাস, বিষয়টি অন্যভাবে থাকতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, তিনি (মওদুদ) দেশের একজন অন্যতম আইনজীবী। চেয়ারপারসনের মামলা লড়ছেন অনেক দিন ধরেই। আমার মনে হয় না ম্যাডাম তাকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য হয়েছে তা সরকার সহ্য করতে পারছে না। তাই গোয়েন্দা দিয়ে আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। এটা সম্ভব নয়।
BD-Pratidin