নিউজ ডেস্ক:
১১ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২৮ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে করা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এমন আদেশ দেন ঢাকার দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার চার্জ গঠনের জন্য ওই দিন ধার্য হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার বিচারিক আদালতে হাজিরা দেয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে পারেননি। এদিন তার পক্ষে তার আইনজীবীরা সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে সবগুলো মামলার চার্জ গঠনের সময় নির্ধারণ করেন আগামী ২৮ মার্চ।
গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।
ওইদিন খালেদা জিয়া আরও বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। এই মামলায় ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
এছাড়া ২০১৫ সালে মিরপুরের দারুসসালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান। গত বছর এই ১১টি মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র দেয়ার পর খালেদা জিয়া এসব মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।