এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ নির্যাাতনকারী স্বামীকে তালাক দেয়ায় এখন গুম এবং খুনের হুমকীর মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে স্ত্রী লাইলী বেগম। সন্ত্রাসী স্বামীর কাছ থেকে রক্ষা পেতে খানসামা থানা পুলিশের সহযোগীতা চেয়েও সহযোগীতা পাচ্ছেন না নির্যাতিতা ওই অসহায় নারী।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপরোক্ত দাবী করেন স্বামী কর্তৃক নির্যাতিতা স্ত্রী লাইলী বেগম। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৩৯ বছর সংসার জীবনে তিনি স্বামী মোঃ মোকসেদার রহমানের কাছে কখনোই শান্তি পাননি, কারনে অকারনে তাকে মারধোরসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করে আসছে স্বামী মোকসেদ, এছাড়াও তারা আমার নামীয় বসতবাড়িও ভুয়া দলিলমুলে দখল করেছে স্বামী মোকসেদার রহমান। সে বাড়ি দখলের সময় মাসিদুর রহমান লিটন, মাসুদা আক্তার লাবনী, স্বতিনের পুত্র ইব্রাহীম খলিল লাবু, মোজাহেদুর রহমান লেলিন, জাহাঙ্গীর আলম, বেলাল হোসেন গংদেও নিয়ে আমাকে জোরপুর্বক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। এই ঘটনার ব্যাপারে থানা পুলিশকে জানালে তারা কোন সহযোগীতাই করেনি।
তিনি বলেন, গত ২৪ মে ২০১৭ তারিখে নোটারী পাবলিক এবং পরবর্তীতে কাজীর অফিসে গিয়ে খানসামা উপজেলাধীন জাহাঙ্গীরপুর নিবাসী মৃতঃ জমির উদ্দীনের পুত্র মোঃ মোকসেদার রহমানকে তালাক প্রদান করেছেন। তারপর হতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোকসেদার আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুজছে। আমাকে সহযোগীতা করার দায়ে সে আমার জামাতা আবু সায়েম, নাবালক নাতি মুহিত এবং মিসবাকেও অপহরন করে লাশগুমের হুমকী দিচ্ছে। ইতিমধ্যে আমি ভুয়া হেবাদলিল বাতিলের জন্যে গত ১৪/০৫/১৭ দিনাজপুর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেছি, মামলা নং ৩২/২০১৭ অন্য।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লাইলী বেগম নির্যাতনকারী স্বামী মোকসেদার রহমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রত্যেক গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে তার সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জহিরুল ইসলাম, আবু সায়েম এবং আবু তাহের প্রমুখ।